কেন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করল UAE? আসল কারণ জানলে অবাক হবেন! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) হঠাৎ করেই বেশ কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি? হঠাৎ করে কেন ভিসা নীতিতে এই পরিবর্তন?

২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি কয়েকটি নির্দিষ্ট দেশের জন্য তাদের ভিসা নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন অভিবাসন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোট নয়টি দেশের নাগরিকদের পর্যটন বা কাজের ভিসার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না।

কোন কোন দেশের উপর এই নিষেধাজ্ঞা?

যে নয়টি দেশের নাগরিকদের ভিসা আবেদন আপাতত গ্রহণ করা হচ্ছে না, সেগুলো হলো: আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, সুদান এবং উগান্ডা।

ভিসা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য কারণ কী?

এই নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে একাধিক সম্ভাব্য কারণ উঠে আসছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জঙ্গি হামলা বা রাজনৈতিক অস্থিরতার মতো সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলার জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, বিশেষ করে যখন উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক দ্রুত বদলাচ্ছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথাও বলা হচ্ছে।

অন্যান্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলির ওপর প্রভাব ফেলবে। যদিও কোনো কোনো সূত্র এই নিষেধাজ্ঞার নির্দিষ্ট কারণ পরিষ্কারভাবে জানাতে পারেনি, তবে অনেকে এটিকে নিরাপত্তার দোহাই দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে এটি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণের একটি বিষয়।

যাদের কাছে ইতিমধ্যেই বৈধ ভিসা বা কাজের অনুমতি রয়েছে, তাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে যারা ভিসা-মুক্ত অথবা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল প্রবেশের যোগ্য, তাদের থাকার সময়সীমা নির্ভর করবে তারা কোন দেশের নাগরিক তার ওপর। সাধারণত, এই ধরনের ভিসা ৩০ দিন বা ৯০ দিনের জন্য দেওয়া হয়।

এই নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য হলেও, এটি স্থায়ী নয়। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এই নয়টি দেশের নাগরিকরা পুনরায় ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *