দশ টাকার বিস্কুট দিয়ে জীবন বদলে গেল এই যুবকের, কে এই সাদাব জাকতি – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
‘দশ রুপেয়া ওয়ালা বিস্কুট কিতনে কা দিয়া জি?’ – এই একটি সংলাপেই রাতারাতি তারকা বনে গেছেন উত্তর প্রদেশের মীরাটের বাসিন্দা সাদাব জাকতি। সোশ্যাল মিডিয়ার এই নতুন সেনসেশনকে নিয়ে এখন মেতেছে গোটা দেশ। শুধু সাধারণ মানুষই নন, তার এই বিশেষ স্টাইলে ভিডিও বানাচ্ছেন বিখ্যাত গায়ক বাদশা, ক্রিকেটার রিঙ্কু সিংসহ আরও অনেক সেলিব্রিটি। কে এই সাদাব, যার একটি মাত্র সংলাপ বদলে দিয়েছে তার জীবন?
ভাইরাল ভিডিওর নেপথ্যের কাহিনি
যে ভিডিওটি সাদাবকে বিখ্যাত করেছে, তাতে দেখা যায় তিনি একটি মুদির দোকানে গিয়ে দোকানিকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘দশ রুপেয়া ওয়ালা বিস্কুট কিতনে কা দিয়া জি?’। এতে দোকানি কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘দশ রুপেয়ার বিস্কুট দশ রুপেয়ারই হবে’। এর জবাবে সাদাবের মজার উত্তর ছিল, ‘পুছনা তো পড়েগা না।’ সাদাবের এই সংলাপ বলার বিশেষ ধরন এবং তার হাঁটার ভঙ্গিমা এতটাই মজার ছিল যে মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
সংগ্রামের কাহিনি
আজকের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে সাদাবের কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগ। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, একসময় তিনি বিদেশে গাড়ি চালকের কাজ করতেন। সেখানেই তার ভিডিও বানানোর শখ তৈরি হয়। কিন্তু কেউ তার এই শখকে সমর্থন জানায়নি, এমনকি পরিবারও নয়। অনেকেই তাকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করতেন।
ভিডিও বানানোর জন্য তিনি তার চালকের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন, কারণ বিদেশে ভিডিও বানানো নিষিদ্ধ ছিল। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন থাকা সত্ত্বেও তিনি রিল বানানো থামাননি। অবশেষে তার এক ভিডিও ভাইরাল হয়, আর এর পরেই সাফল্যের আলো দেখতে পান তিনি।
বাদশার একটি রিল বদলে দিল সব
সাদাব মনে করেন, তার এই জনপ্রিয়তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান হলো গায়ক বাদশার। বাদশা তার সংলাপে একটি রিল তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর তা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে দেশের প্রতিটি কোণায় তার এই সংলাপ ট্রেন্ডে পরিণত হয়। সাদাব আন্তরিকভাবে বাদশাকে তার এই সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ জানান।
শারীরিক সমস্যাই এখন তার পরিচয়
সাদাব স্লিপ ডিস্ক নামের একটি রোগের শিকার, যে কারণে তার হাঁটা কিছুটা বাঁকা হয়ে গেছে। অথচ এই শারীরিক সমস্যাই আজ তার বিশেষ স্টাইল ও পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে। ভাইরাল হওয়া সত্ত্বেও সাদাব আজও মীরাটের তার ছোট্ট ঘরে সাধারণ জীবন যাপন করেন। প্রতিদিন বহু মানুষ তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সাদাব জানিয়েছেন, কিছু বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে তার কথা চলছে। তবে তার সিনেমার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই, তিনি রিল বানিয়েই খুশি থাকতে চান। সাদামাটা জীবনযাপনই তার পছন্দ।