যে ৭টি সহজ উপায়ে মহিলাদের হরমোনের ভারসাম্য ফিরবে, বদলে যাবে জীবনযাপন! জেনে নিন – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর আয়ুর্বেদ দিবস পালিত হয়। এটি ভারতের একটি প্রাচীন ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা এখন সারা বিশ্বে সমাদৃত। আয়ুর্বেদ রোগের মূল কারণ দূর করায় বিশ্বাসী। এটি শুধু রোগ নিরাময় নয়, জীবনযাত্রার মানও উন্নত করে।
বিশেষ করে মহিলাদের হরমোন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা যেমন PCOS, অনিয়মিত পিরিয়ডস এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য আয়ুর্বেদে রয়েছে দারুণ সমাধান। যদিও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি, তবে এর মাধ্যমে জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস এবং দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তন করে হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
হরমোনের ভারসাম্য ফেরাতে ৭টি সহজ আয়ুর্বেদিক উপায়
১. মানসিক চাপ কমাতে অশ্বগন্ধা: অশ্বগন্ধা স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং থাইরয়েড ও অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি পরোক্ষভাবে প্রজনন হরমোন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
২. প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য শতাবরী: শতাবরী মহিলাদের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী ঔষধি। এটি ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং পিরিয়ডস নিয়মিত করতে সাহায্য করে। অনিয়মিত মাসিক, PMS এবং মেনোপজের লক্ষণ কমাতে এটি বিশেষভাবে কার্যকর।
৩. যোগ ও প্রাণায়াম: নিয়মিত যোগাসন, যেমন ভুজঙ্গাসন (কোবরা পোজ) এবং প্রাণায়াম, যেমন অনুলোম-বিলোম অনুশীলন করলে স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয়, রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে।
৪. অভ্যঙ্গ: এই আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে হালকা গরম তিল বা নারকেল তেল দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পুরো শরীরে মালিশ করা হয়। এটি মানসিক চাপ কমায় এবং প্রজনন অঙ্গের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
৫. আয়ুর্বেদিক খাবার: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হরমোনের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাবারে গোটা শস্য, ঋতুভিত্তিক শাকসবজি, টাটকা ফল, ঘি এবং ভেষজ চা অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রক্রিয়াজাত ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৬. দারুচিনি ও মৌরি চা: নিয়মিত দারুচিনি ও মৌরি দিয়ে তৈরি ভেষজ চা পান করলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত হয়, হজম শক্তি বাড়ে এবং পিরিয়ডসের ব্যথা কমে। এটি হরমোন ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই উপকারী।
৭. পর্যাপ্ত ঘুম: আয়ুর্বেদে সঠিক সার্কাডিয়ান রিদমের ওপর জোর দেওয়া হয়, যার মানে হলো রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো, সূর্যোদয়ের আগে ওঠা এবং নিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়া। এটি হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক সুস্থতার জন্য জরুরি।