যে রাতে বদলে গিয়েছিল দুটি অচেনা জীবনের গল্প – এবেলা
এবেলা ডেস্কঃ
ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে এক অদ্ভুত নীরবতা। রাত তখন প্রায় দশটা। শহরের শেষ ট্রেন ধরতে আসা মানুষের ভিড় কমতে শুরু করেছে। এমন এক বিষণ্ণ সন্ধ্যায়, সদ্য প্রোমোশন হাতছাড়া হওয়া অনির্বাণ বসেছিল তার নিত্যদিনের বেঞ্চে। বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর মনখারাপ তাকে গ্রাস করছিল। ঠিক তখনই তার পাশের বেঞ্চে এসে বসল এক অপরিচিতা নারী। তার চোখে ছিল গভীর কষ্ট, কিন্তু মুখে এক অদ্ভুত শান্তি। ট্রেন লেট হওয়ায় শুরু হলো তাদের কথা। অনির্বাণ জানতে পারল মেয়েটির নাম ইশানি, সে একজন স্কুলশিক্ষিকা। ধীরে ধীরে তাদের একাকী জীবনের গল্পগুলো যেন এক সুতোয় গাঁথা হলো।
অপরিচিত স্টেশন থেকে শুরু হওয়া এই বন্ধুত্ব অচিরেই ভালোবাসার পথে পা বাড়াল। অনির্বাণের ক্লান্ত জীবনে ইশানির উপস্থিতি ছিল এক টুকরো আলোর মতো। কিন্তু তাদের প্রেম নতুন মোড় নেয় যখন ইশানির বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে গ্রামে ফিরে যেতে হয়। দীর্ঘ সময় পর অনির্বাণ জানতে পারে ইশানির বিয়ের খবর। বিয়ের আগের রাতে অনির্বাণ আবার সেই পুরোনো স্টেশনে যায়, শেষবারের মতো ইশানিকে দেখার আশায়। সে দেখে প্ল্যাটফর্মে ইশানি দাঁড়িয়ে আছে। ইশানি বলল, “আমার বিয়ে হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আজ এখানে এসেছি শুধু তোমাকে একবার দেখতে।” অনির্বাণ শুধু বলল, “তুমি সুখে থেকো।” জীবনের শেষ ট্রেন চলে গেল, কিন্তু অনির্বাণ বুঝল, ভালোবাসা সবসময় পাওয়া যায় না, কখনও কখনও কেবল প্রিয় মানুষের সুখের প্রার্থনা করাটাই যথেষ্ট।