‘ভারত ও চিন মিলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফান্ডিং করছে,’ দাবি ট্রাম্পের – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা: সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পেছনে ভারত এবং চিনের বড় ভূমিকা রয়েছে। তার অভিযোগ, এই দুই দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনে প্রকারান্তরে যুদ্ধের খরচ যোগাচ্ছে। ট্রাম্পের এমন বিস্ফোরক মন্তব্যে আন্তর্জাতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, ন্যাটো দেশগুলোই আসলে এই যুদ্ধের প্রধান ফান্ডিংকারী। তিনি আরও অভিযোগ করেন, “চিন এবং ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এবং এই অর্থই মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের ফান্ডিং করছে।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি যুদ্ধের জন্য মস্কোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। ট্রাম্প বলেন, “এটা খুবই লজ্জাজনক যে ন্যাটো দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করতে কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। ওরা আসলে নিজেদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধের ফান্ডিং করছে।”

রাশিয়ার তেল কেনা মানেই যুদ্ধের ফান্ডিং— এই তত্ত্বে জোর দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, “ওরা একদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, অন্যদিকে তাদের থেকেই তেল ও গ্যাস কিনছে… এটা সত্যিই লজ্জাজনক।” তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি যুদ্ধ থামাতে এখনই কোনো চুক্তি না করা হয়, তবে আমেরিকা রাশিয়ার উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করবে, তবে তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সমর্থন প্রয়োজন।

শুধুমাত্র যুদ্ধ নিয়েই নয়, ট্রাম্প রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘ তাদের ক্ষমতা সঠিক ভাবে ব্যবহার করছে না। “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা কেবল লম্বা-চওড়া চিঠি লেখে, কিন্তু নিজেদের নীতি অনুসরণ করে না। খালি কথা দিয়ে এই যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয়,” বলেন ট্রাম্প।

পাশাপাশি, প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগকেও ট্রাম্প কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এখন এই রাষ্ট্রসংঘেরই কিছু লোক সংঘাতে ইন্ধন জোগাতে একতরফাভাবে প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে। হামাসের সন্ত্রাসবাদীদের এ যেন তাদের নৃশংসতার জন্য পুরস্কার দেওয়া।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *