এই অলৌকিক মন্দিরগুলিতে নিঃসন্তান মহিলারা কেবল মেঝেতে ঘুমালে গর্ভবতী হন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ভারতের এমন অনেক মন্দির আছে, যেখানে বিশ্বাস আর অলৌকিকতা হাত ধরাধরি করে চলে। আধুনিক বিজ্ঞান যেখানে পৌঁছতে পারে না, সেখানে কাজ করে বিশ্বাস। তেমনই এক অলৌকিক মন্দির আছে হিমাচল প্রদেশে, যার নাম সিমসা মাতা মন্দির। এই মন্দিরে সন্তানহীন দম্পতিরা দূর-দূরান্ত থেকে আসেন শুধু একটি আশা নিয়ে— যদি তাঁদের কোলে আসে একটি ফুটফুটে সন্তান।
এই মন্দিরের মূল রহস্য লুকিয়ে আছে এর মেঝেতে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, সন্তানহীন মহিলারা যদি পবিত্র মন নিয়ে এই মন্দিরের মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েন, তবে তাঁরা গর্ভবতী হন। শুধু তাই নয়, এই সময়ে তাঁদের স্বপ্নে মা সিমসা দর্শন দেন এবং একটি ফল দেন। মনে করা হয়, এই ফলই সন্তান লাভের আশীর্বাদের প্রতীক।
এই মন্দিরে বছরে দুবার নবরাত্রির সময় ‘সলিভেন্দ্রা’ উৎসব হয়, যার অর্থ স্বপ্ন দেখা। এই সময় পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের মতো প্রতিবেশী রাজ্যগুলো থেকে শত শত মহিলা মন্দিরে এসে দিন-রাত মেঝেতে শুয়ে থাকেন।
মন্দিরের প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী, যদি কোনো মহিলা স্বপ্নে একটি পেয়ারা দেখেন, তবে তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দেবেন। অন্যদিকে, যদি তিনি একটি ঢেঁড়স দেখেন, তাহলে কন্যাসন্তান হবে। তবে যদি কোনো মহিলা স্বপ্নে কোনো পাথর, কাঠ বা ধাতব বস্তু দেখেন, তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে তাঁর সন্তান হবে না। এর পরেও যদি কোনো মহিলা জোর করে মন্দিরে থাকার চেষ্টা করেন, তবে তাঁর শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি দেখা যায় এবং বাধ্য হয়েই তাঁকে ফিরে যেতে হয়।
মন্দিরের কাছে আরও একটি কৌতূহলী পাথর রয়েছে। দুটি হাত দিয়ে এই পাথরটি সরানো যায় না, অথচ কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে ধাক্কা দিলেই এটি নড়তে থাকে। এই অলৌকিক ঘটনাগুলি বিজ্ঞানের পরিপন্থী হলেও, মানুষের বিশ্বাসে কোনো ঘাটতি পড়ে না।