গাজায় হামাসের দিন শেষ! অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণের কড়া বার্তা ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন হামাসকে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, হামাসকে তাদের সমস্ত অস্ত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে এবং নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আব্বাস জোর দিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকায় শাসন ও নিরাপত্তা রক্ষার একমাত্র বৈধ কর্তৃপক্ষ হলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।
সম্প্রতি ফ্রান্স, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার মতো বেশ কয়েকটি বড় দেশ ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এরই মাঝে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক বিশেষ অধিবেশনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাহমুদ আব্বাস একটি ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রূপরেখা তুলে ধরেন।
আব্বাস বলেন, এই নতুন রাষ্ট্রে একটাই আইন থাকবে, একটাই বৈধ নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে এবং কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সেখানে কোনো স্থান হবে না। তাঁর কথায় স্পষ্ট, গাজায় হামাসের কোনো জায়গা থাকবে না। গাজার প্রশাসন পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি সরকারের সঙ্গে যুক্ত হবে, যা আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় গঠিত একটি অন্তর্বর্তী কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
একইসঙ্গে তিনি জুলাই মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাশ হওয়া নিউ ইয়র্ক ঘোষণাপত্রের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি এটিকে মানবিক সংকট নিরসন এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শেষ করার একটি অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন। এই ঘোষণাপত্রে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রূপরেখা রয়েছে, যা ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি সহাবস্থান করবে।
আব্বাস অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি জাতিসংঘের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সাহায্য, সব জিম্মি ও বন্দির মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার এবং কায়রো আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে গাজা ও পশ্চিম তীরের পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, দখলদারিত্বের সময় অবরোধ, অনাহার ও ধ্বংসের মতো অপরাধকে সুরক্ষার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। তিনি ইসরায়েলের বসতি স্থাপন, এলাকা দখল এবং পবিত্র স্থানগুলোতে হামলার তীব্র নিন্দা করেন। একইসঙ্গে তিনি ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর হামাসের হামলায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও জিম্মি করার ঘটনারও সমালোচনা করেন। আব্বাস ইসরায়েলের ‘গ্রেটার ইসরায়েল’-এর ধারণাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন এবং একে আরব দেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা ও বিশ্ব শান্তির জন্য বড় হুমকি বলে অভিহিত করেন।