ফাস্ট্যাগে নতুন নিয়ম চালু, বছরে হাজার হাজার টাকা লোকসান! জানুন আসল কারণ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

ফাস্ট্যাগ ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ! কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নতুন ফাস্ট্যাগ বার্ষিক পাস স্কিম এখন হাজার হাজার গাড়িচালকের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং স্বচ্ছতা আনার উদ্দেশ্যে এই স্কিম শুরু হলেও, কিছু গুরুতর প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ব্যবহারকারীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

আসলে কী হয়েছে?

ফাস্ট্যাগ সাধারণত গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে লাগানো থাকে। যদি কোনো কারণে উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে যায় এবং নতুন ফাস্ট্যাগ নিতে হয়, তাহলে পুরাতন ফাস্ট্যাগে রিচার্জ করা বার্ষিক পাসের টাকা নতুনটিতে স্থানান্তর করার কোনো উপায় নেই। পোর্টালে এই বিষয়ে কোনো বিকল্পই রাখা হয়নি। ফলে যেসব গাড়িচালক তিন হাজার টাকা বা তার বেশি টাকার বার্ষিক পাস কিনেছিলেন, তাদের পুরো টাকাটাই জলে যাচ্ছে।

ক্ষতি শুধু উইন্ডস্ক্রিন ভাঙা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়। যদি কেউ তার গাড়ি বিক্রি করে দেন এবং পুরোনো ফাস্ট্যাগ বন্ধ করে দেন, তাহলে জমা থাকা টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংক বা ফাস্ট্যাগ অপারেটর কেউই এই বিষয়ে কোনো পরিষ্কার উত্তর দিতে পারছে না। ফলে বহু মানুষের হাজার হাজার টাকা আটকে আছে।

ক্ষতি কেন হচ্ছে?

ডুপ্লিকেট ফাস্ট্যাগ ইস্যু করা হলেও পুরোনো ফাস্ট্যাগের ব্যালেন্স নতুনটিতে স্থানান্তরিত হচ্ছে না। গাড়িচালকরা বলছেন, যখন বার্ষিক পাসের টাকা একবার জমা করা হয়েছে, তখন ডুপ্লিকেট ফাস্ট্যাগে সেই টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না? তাদের অভিযোগ, এই স্কিম থেকে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। বহু মানুষ এই সমস্যাকে ‘সরাসরি পকেটে আঘাত’ বলে বর্ণনা করছেন।

সারা দেশে হাজার হাজার মানুষ এই সমস্যার শিকার। তাদের অভিযোগ, অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যমে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী গাড়িচালকরা কেন্দ্রীয় সরকার এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে (NHAI) দ্রুত এই পোর্টালে একটি বিকল্প যোগ করার আবেদন জানিয়েছেন, যাতে ডুপ্লিকেট ফাস্ট্যাগ বা গাড়ি বিক্রির পরেও বার্ষিক পাসের ব্যালেন্স ফেরত বা স্থানান্তর করা যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *