বিছানায় নিজের মেয়েকে শ্রীলতাহানি! “আমি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, আমাকে শাস্তি দাও” পুলিশের সামনে বলল বাবা – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
মুরাদাবাদ: স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিল। এরপর নিজেরই নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে বাবা। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই সে হাঁটু গেড়ে বসে কাঁদতে কাঁদতে স্বীকার করে, “আমি হবসায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি অপরাধী, আমাকে শাস্তি দিন।”
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঠাকুরদ্বারা এলাকায়। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি একজন ভূষা ব্যবসায়ী। তিন মাস আগে সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে তাদের ছয়টি সন্তান বাবার কাছেই থাকত। গত শনিবার রাতে তার ১৫ বছরের মেয়েটি চিৎকার করে তার বাবাকে ধর্ষণের অভিযোগ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অভিযুক্ত তার ছোট ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে সে হুমকি দেয়, যদি সে কাউকে কিছু বলে তবে সে তার ছেলেকে গলা টিপে মেরে ফেলবে।
এরপর ওই নাবালিকার মা থানায় অভিযোগ জানালে অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাগাতার ধর্ষণের ফলে নাবালিকাটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক ছিল।
ঠাকুরদ্বারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাঞ্চাল জানান, অভিযুক্তকে কাশীপুর চুঙ্গি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর সে তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বাইক রেখে তার ছেলেকে সেখানে ছেড়ে আসে। পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে নাবালিকাটি জানায়, স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর তার বাবা তাকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তার ভয় ছিল, স্কুলে গিয়ে সে কারও কাছে ধর্ষণের কথা বলে দেবে। এছাড়াও, ধর্ষণের প্রতিবাদ করলেই বাবা তার ভাইয়ের ক্ষতি করার হুমকি দিত। তাই ভাইয়ের কথা ভেবে সে চুপচাপ সব সহ্য করে যাচ্ছিল। কিন্তু শনিবার রাতে সে আর সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে ওঠে। অভিযুক্ত নাবালিকার ওপর নিয়মিত শারীরিক নির্যাতনও চালাত বলে পুলিশকে জানায় সে।
পুলিশ নাবালিকার জবানবন্দি আদালতে নথিভুক্ত করেছে এবং আদালতের নির্দেশে তাকে তার মায়ের সাথে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মা তার সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে এসেছেন।