বঙ্গে এবার তুমুল দুর্যোগ! ঝড়ের দাপটে ভারী বৃষ্টি, সাতদিন ধরে কোথায় কী ঘটবে জানাল আবহাওয়া দফতর – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সাত দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে এই বৃষ্টিপাত এবং বজ্রঝড় চলবে পরবর্তী সপ্তাহ জুড়ে।
শহরের আবহাওয়া কেমন থাকবে?
কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলিতে প্রতিদিনই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ২৬ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ২৭ সেপ্টেম্বর শহরের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।
উপকূলীয় জেলাগুলির সতর্কতা
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বজ্রঝড়ের সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু এলাকায় ২৮ সেপ্টেম্বর ভারী বৃষ্টির (৭-১১ সেমি) সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। ২৮ সেপ্টেম্বর একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ দমকা হাওয়ার সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল হওয়ায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
অন্যান্য জেলায় কী ঘটতে পারে?
ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়াতেও প্রতিদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। ২৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর বজ্রঝড়ের আশঙ্কা প্রবল। ঝাড়গ্রামে ২৮ সেপ্টেম্বর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বজ্রপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাতেও টানা সাত দিন ধরে বৃষ্টি চলবে। ২৬ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর এই জেলাগুলিতে বজ্রঝড় ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকটি এলাকায় বজ্রপাতে প্রাণহানির ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
সতর্ক থাকার পরামর্শ
বজ্রঝড়ের সময় খোলা মাঠ বা বিদ্যুতের খুঁটির নিচে আশ্রয় নেওয়া বিপজ্জনক। শহরের যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। খালবিল ও নদী সংলগ্ন এলাকায় জলপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া জরুরি। মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় ৪৫ কিমি বা তার বেশি গতিবেগের ঝোড়ো হাওয়ার কারণে সমুদ্র অতি উত্তাল হতে পারে। তাই আগামী পাঁচ দিন তাদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।