আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘ওম শান্তি, শান্তি ওম’ মন্ত্র দিয়ে চমক দিলেন মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্ট! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রায়শই বিশ্বের বড় বড় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোওো সুবিয়ান্তো যা করলেন, তা দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তার ভাষণ শুধু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা দিয়েই শেষ হয়নি, বরং তিনি এক এমন শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেছেন যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গেছে। বিশ্বশান্তি এবং সম্প্রীতির বার্তা দিতে গিয়ে তিনি ঠিক কী বলেছিলেন?

সুবিয়ান্তো তার ১৯ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে বিশ্বশান্তি, ন্যায় এবং সবার জন্য সমান সুযোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি সতর্ক করে বলেন যে, মানুষের মূর্খতা, যা বর্ণবাদ, ঘৃণা, এবং নিপীড়ন দ্বারা চালিত, তা আমাদের সবার ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করছে। তার এই বক্তব্যের পর তিনি যখন তার ভাষণ শেষ করেন, তখন তিনি হিন্দু ধর্মের পবিত্র মন্ত্র ‘ওম শান্তি, শান্তি ওম’ ব্যবহার করেন। বিভিন্ন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি তার ভাষণের শেষে ‘আসসালামু আলাইকুম’, ‘শালোম’ এবং ‘সালভে’র মতো শব্দও ব্যবহার করেন। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মহলে দ্রুত আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০ হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা

ভাষণে সুবিয়ান্তো বলেন, গাজায় শান্তি ফেরাতে ইন্দোনেশিয়া প্রায় ২০ হাজার বা তার বেশি সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “ইন্দোনেশিয়া বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অন্যতম বৃহৎ অবদানকারী দেশ। আমরা কেবল কথার দ্বারা নয়, বরং মাঠপর্যায়ে কার্যক্রমের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে যাব।” তিনি দুই রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়কেই স্বাধীন, নিরাপদ এবং সন্ত্রাসমুক্ত হতে হবে। গাজার ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বিশ্বের জাতিগোষ্ঠীকে এই ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় বিশ্ব এক অন্তহীন যুদ্ধ ও হিংসার চক্রে প্রবেশ করবে।”

সুবিয়ান্তো জোর দিয়ে বলেন যে, যেকোনো রাজনৈতিক সংঘাতের জবাব হিংসার মাধ্যমে হতে পারে না, কারণ তা কেবল আরও হিংসা ডেকে আনে। তিনি বলেন, “একমাত্র সমাধান হলো আব্রাহামের দুই উত্তরসূরি—আরব, ইহুদি, মুসলিম এবং খ্রিস্টান—শান্তি ও সম্প্রীতির মধ্যে একসঙ্গে বসবাস করবে।” ইন্দোনেশিয়া এই লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি জানান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *