ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ধাক্কা! আমেরিকাকে টেক্কা দিতে নতুন ভিসা আনল চিন, কারা পাবেন ‘কে’ ভিসা? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ট্রাম্পের নতুন ভিসানীতিতে যেখানে প্রযুক্তি বিশ্বে উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক তখনই এক চমকপ্রদ পদক্ষেপ নিয়েছে চিন। তরুণ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রতিভাদের আকৃষ্ট করতে এবার নতুন এক ভিসা চালু করেছে দেশটি, যার নাম ‘কে’ ভিসা। এই পদক্ষেপকে অনেকেই দেখছেন আমেরিকার এইচ-১বি ভিসার পাল্টা হিসেবে।
কৌতুহল বাড়িয়ে এই নতুন ভিসা ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করেছে চিনের স্টেট কাউন্সিল। এর মূল লক্ষ্য এশিয়া, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত (STEM) ক্ষেত্রের তরুণ পেশাদারদের নিজের দিকে টানা।
চিনের এই ভিসার বিশেষত্ব কী
পুরোনো ১২টি সাধারণ চিনা ভিসার চেয়ে এই নতুন ‘কে’ ভিসা তার সুবিধা দিয়ে নজর কাড়ছে। এই ভিসাধারীরা সহজে একাধিকবার চিনে প্রবেশ করতে পারবেন, দীর্ঘ সময় থাকতে পারবেন এবং বিভিন্ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
কারা পাবেন কে ভিসা?
এই বিশেষ ভিসাটি মূলত তরুণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্নাতকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা STEM বিষয়ে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি লাভ করেছেন, তারা অগ্রাধিকার পাবেন। চিনের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমেরিকার প্রযুক্তি বাজার থেকে হাজার হাজার মেধাবী পেশাদারকে নিজেদের গবেষণাক্ষেত্রে নিয়ে আসার একটি বড় পরিকল্পনা রয়েছে।
আমেরিকার উপর চাপ বাড়াচ্ছে চিন
যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসার জন্য বার্ষিক ১,০০,০০০ ডলার ফি আরোপ করেছেন, সেখানে চিন তার অভিবাসন প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলছে। এটি কেবল চাকরির বিকল্পই নয়, বরং সহজে বাসস্থান এবং প্রবেশের সুযোগও দেবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ আমেরিকার উপর চাপ বাড়িয়ে তুলবে এবং এশিয়ার মেধাবী তরুণদের জন্য একটি নতুন সুযোগের দ্বার খুলে দেবে।
ট্রাম্পের গোল্ড কার্ড ভিসা
ট্রাম্পের নতুন ভিসানীতিতে এইচ-১বি ভিসার ফি বৃদ্ধির পাশাপাশি এক নতুন ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রোগ্রামও চালু করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামের আওতায় এক মিলিয়ন ডলার খরচ করে ব্যক্তিরা মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে পারবেন। আমেরিকার চাকরি এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার কারণ দেখিয়ে ট্রাম্প এই পরিবর্তন এনেছেন।