বিয়ের এক মাসের মধ্যেই বদলে যায় স্বামী, পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললেন স্ত্রী! কেন ঘটল এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
বিয়ে করেছিলেন ভালোবেসে, কিন্তু সেই প্রেম এক মাসের মধ্যেই রূপ নেয় ভয়ংকর অত্যাচারে। আর সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললেন স্ত্রী। এক সময় এই ঘটনা গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। লোরেনা ববিট নামে সেই নারী এখন কেন শ্রদ্ধার পাত্রী, আর কীভাবেই বা তার জীবনের গল্প উঠে এল তথ্যচিত্রে, তা জানলে আপনিও অবাক হবেন।
১৯৯৩ সালের ২৩ জুন, ভোরে স্বামী জন ওয়েন ববিট যখন রক্তে ভেজা অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছন, চিকিৎসকরা হতবাক হয়ে যান। জন অভিযোগ করেন, ঘুমন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন। এরপর সেই কাটা অংশটি তিনি গাড়ি থেকে বাইরে ছুড়ে ফেলে দেন। পরে পুলিশ সেই বিচ্ছিন্ন অংশ খুঁজে পায় এবং দীর্ঘ অস্ত্রোপচারের পর তা জোড়া লাগানো সম্ভব হয়। চিকিৎসকরা জানান, এই ঘটনা বিশ্বের প্রতিটি পুরুষের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
কিন্তু কেন এমন চরম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন লোরেনা? মাত্র ১৭ বছর বয়সে আমেরিকায় এসে জন-এর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। জন দেখতে সুদর্শন হলেও, বিয়ের পর থেকেই তার আসল রূপ বেরিয়ে আসে। লোরেনার অভিযোগ, জন তাকে লাগাতার মারধর ও ধর্ষণ করত। এমনকি বারবার পুলিশকে জানালেও কোনো লাভ হয়নি। জন তার অত্যাচারের প্রমাণ হিসেবে লোরেনার রেকর্ড করা টেপও কেড়ে নেয়।
লোরেনা আদালতের কাছে জানান, ঘটনার রাতেও জন তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তিনি জল খাওয়ার জন্য রান্নাঘরে যান এবং সেখান থেকে একটি ছুরি নিয়ে ফিরে আসেন। ঘুমন্ত জন-এর পুরুষাঙ্গ তিনি এক কোপে কেটে ফেলেন।
আদালতের রায়ে লোরেনাকে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত কারণে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। তার আইনজীবী প্রমাণ করেন, দীর্ঘদিনের গার্হস্থ্য হিংসা ও নির্যাতনের ফলস্বরূপ তিনি আত্মরক্ষার তাগিদেই এই কাজ করেছিলেন। এই রায়ের পর থেকেই লোরেনা বহু মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্রী হয়ে ওঠেন, কারণ তিনি গৃহ নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের এক ধরনের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। সম্প্রতি লোরেনা নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনার কাহিনি নিয়ে একটি তথ্যচিত্রও প্রযোজনা করেছেন, যা অ্যামাজন প্রাইমে দেখা যাচ্ছে। এখন তিনি লোরেনা গ্যালো নামে পরিচিত।