ইউরোপ কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে? জার্মানি-ফ্রান্সের হাসপাতালে কেন জরুরি সতর্কতা – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

ইউরোপে কি ফের বাজছে যুদ্ধের দামামা? সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাপ্রবাহ সেই জল্পনাই উস্কে দিচ্ছে। জার্মানি এবং ফ্রান্সের মতো প্রধান দেশগুলো তাদের হাসপাতালগুলোকে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। এর পেছনে রয়েছে ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা।

জার্মান হাসপাতালগুলোতে দিনে ১০০০ আহত সৈন্যের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স। অন্যদিকে, ফরাসি পত্রিকা লে ক্যানার্ড এনচেইনে-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্রান্স ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার আহত মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তাদের হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে। মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে এই প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, দেশগুলো ছোটখাটো সংঘর্ষ নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কায় ভুগছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউরোপ এবং রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে জার্মান সেনাবাহিনীর সার্জন জেনারেল রাল্ফ হফম্যান জানিয়েছেন, এখনকার যুদ্ধে ড্রোন, বিস্ফোরণ এবং আগুনে পোড়ার আঘাতের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈন্যদের দ্রুত চিকিৎসা ও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য হাসপাতাল, ট্রেন এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এদিকে, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সাম্প্রতিক মন্তব্য এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নিউইয়র্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন যে, রাশিয়া এখন ‘পেপার টাইগার’। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন তাদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে পারে। ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ এর আগে তিনি ইউক্রেনকে কিছু জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও এখন রাশিয়ার দুর্বল অর্থনীতি এবং সামরিক চাপের দিকে ইঙ্গিত করে ইউক্রেনের সম্পূর্ণ বিজয়ের সম্ভাবনা দেখছেন। ন্যাটো সামরিক জোট বারবার দাবি করছে যে, ২০২৯ সালের মধ্যে রাশিয়া ইউরোপ আক্রমণ করতে পারে। যদিও রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে, তাদের কোনো দেশের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *