বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় প্রথম না হয়েও NASA-তে যাওয়ার সুযোগ! মহারাষ্ট্রের নয়া প্রকল্পে ব্যাপক উত্তেজনা – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

মহারাষ্ট্রে শুরু হতে চলেছে এক যুগান্তকারী উদ্যোগ, যা রাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান ও গবেষণার এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। ‘বিদ্যাৰ্থী বিজ্ঞান বারি’ (Vidyarthi Vigyan Vari) নামের এই প্রকল্পের অধীনে প্রতি বছর ৫১ জন শিক্ষার্থীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা NASA পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে সবচেয়ে কৌতূহলের বিষয় হলো, এই সুযোগ পেতে শিক্ষার্থীদের কোনো বড় প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করতে হবে না।

কী এই প্রকল্প এবং কারা সুযোগ পাবে?

এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী না হওয়া সত্ত্বেও যেসব শিক্ষার্থীর বিজ্ঞান ও গবেষণার প্রতি গভীর আগ্রহ আছে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়া। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বিভাগ এই উদ্যোগের তত্ত্বাবধান করছে। রাজ্যের মন্ত্রী পঙ্কজ ভোয়ারের মতে, এটি এমন একটি প্রকল্প, যা বিজ্ঞানকে শুধুমাত্র পুরস্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতাকে গুরুত্ব দেবে।

এই প্রকল্পের অধীনে একটি বহু-স্তরের নির্বাচন প্রক্রিয়া থাকবে। প্রথমে, তহশিল স্তরে ২১ জন শিক্ষার্থীকে তাদের সেরা প্রকল্পের জন্য স্থানীয় বিজ্ঞান কেন্দ্র পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হবে। এরপর জেলা স্তরে নির্বাচিত ৫১ জন শিক্ষার্থী ইসরো (ISRO), বেঙ্গালুরু পরিদর্শনের সুযোগ পাবে। সবশেষে, রাজ্য স্তরের ৫১ জন সেরা শিক্ষার্থীকে NASA-তে শিক্ষামূলক ভ্রমণে পাঠানো হবে। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও বিজ্ঞানকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে উৎসাহিত করা হবে।

ভবিষ্যৎ এবং অর্থসংস্থান

এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু ভ্রমণের সুযোগই নয়, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদি উৎসাহ প্রদানও লক্ষ্য। মন্ত্রী ভোয়ার জানিয়েছেন, এর ফলে শিক্ষার্থীরা কেবল একটি প্রকল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিজ্ঞানের বৃহত্তর জগতে প্রবেশ করবে। সম্প্রতি, রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতার পুরস্কারের অর্থ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫১ হাজার টাকা করা হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন, তবে NASA সফরের আনুমানিক ৩ কোটি টাকার জন্য এখনও চূড়ান্ত অর্থসংস্থান অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *