ভেজাল খাবারের রমরমা, পুজোয় পেটপুজোয় নজরদারি! আপনার প্রিয় স্ট্রিট ফুড কি নিরাপদ? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
নদীয়া: উমা মায়ের আগমনে উৎসবের আনন্দে মেতেছে নদীয়া। চারিদিকে আলোর রোশনাই, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে উপচে পড়া ভিড়। পুজো মানেই নতুন জামাকাপড়, ঠাকুর দেখা আর খাওয়াদাওয়া। চপ, কাটলেট, ফুচকা থেকে শুরু করে রোল-চাউমিন, সবকিছুরই চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কিন্তু এই জমজমাট আনন্দের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে এক বড় বিপদ— ভেজাল খাবারের রমরমা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুজোর সময় চাহিদার সুযোগ নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী একই তেল বারবার ব্যবহার করে খাবার তৈরি করেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। রাস্তার ধারে খোলা জায়গায় তৈরি হওয়া খাবারে মিশে যায় ধুলোবালি। অনেক সময় খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয় অস্বাস্থ্যকর রাসায়নিক। উৎসবের উচ্ছ্বাসে সেই খাবারই দেদার বিক্রি হয়, আর এর ফলে বাড়তে থাকে অসুস্থতার ঝুঁকি।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ বছর নড়েচড়ে বসেছে নদীয়ার জেলা প্রশাসন ও খাদ্য সুরক্ষা দফতর। পুজো চলাকালীন হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং অস্থায়ী স্টলে অভিযান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খাবারের মান পরীক্ষা করা হবে এবং প্রয়োজনে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। শুধু বড় হোটেল নয়, মণ্ডপের সামনে বসা ছোট দোকানগুলোও এই নজরদারির বাইরে নয়।
খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক সচিন সুরওয়াডে জানান, তাঁদের মূল লক্ষ্য হলো মানুষ যাতে পুজোতে নিরাপদ খাবার খেতে পারেন, তা নিশ্চিত করা। ইতিমধ্যেই প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে বৈঠক হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ভেজাল খাবার বিক্রি করলে বা লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুতরাং, এই পুজোয় যখন আপনি প্রিয় স্ট্রিট ফুডের স্বাদ নিতে যাবেন, তখন মাথায় রাখুন যে আপনার আনন্দ যেন স্বাস্থ্যের ঝুঁকির কারণ না হয়।