চলন্ত ট্রেনে চালকের শৌচাগার পেলে কী হয়? চমকে দেবে রেলের এই নিয়ম – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ভারতীয় রেল যাত্রীদের সুবিধা দিতে নানা ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে, কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি চলন্ত ট্রেনের চালক বা লোকো পাইলটদের যদি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়, তখন কী ঘটে? যাত্রীদের জন্য শৌচাগার থাকলেও চালকদের জন্য বিশেষ নিয়ম রয়েছে।
লোকো পাইলটদের ডিউটি শুরু হওয়ার আগে অবশ্যই শৌচকর্ম সেরে নিতে হয়। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, একটানা তিন থেকে চার ঘণ্টা ট্রেন চালানোর সময় জরুরি প্রয়োজন হলেও তাঁদের সেটি সামাল দিতে হয়। কারণ, এমন পরিস্থিতিতে মাঝপথে ট্রেন থামানোর নিয়ম নেই। এর মূল উদ্দেশ্য হলো যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং ট্রেন চলাচলে কোনো বাধা না আসা।
তবে, যদি জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন লোকো পাইলটকে কন্ট্রোল রুমে খবর দিতে হয়। অনুমতি পেলে তিনি সবচেয়ে কাছের স্টেশনে ট্রেন থামাতে পারেন এবং শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন।
লোকো পাইলটদের সাধারণত আট ঘণ্টার ডিউটি থাকে, কিন্তু মাঝপথে কোনো সাধারণ কারণে ট্রেন থামানোর অনুমতি নেই। এই কঠোর নিয়মগুলি রেলের কার্যকারিতা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।