ইউক্রেন যুদ্ধের আঁচ এবার ভারতের ওপর! ৫ গুণ বেশি শুল্ক চাপানোর বিল আনা হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসে? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছে। এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একসময় ভারতকে রুশ তেল কেনা থেকে বিরত করতে ট্রাম্প প্রশাসন ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর কথা ভেবেছিল। এমনকি এ নিয়ে একটি বিলও আনা হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এই বিষয়ে নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চলছে এবং এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হতে পারে। তিনি স্বীকার করেন, সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন রুবিও এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও এই বিষয়টি উঠে এসেছিল।
তিনি বলেন, “এই বিষয়টি সব বৈঠকেই তোলা হচ্ছে… প্রেসিডেন্ট পুরোপুরি স্পষ্ট। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চান। তিনি চান না যে রাশিয়ার কোনও আয় হোক… তিনি এই কথা ইউরোপীয় অংশীদার এবং ভারত, উভয়কেই স্পষ্ট ভাবে বলেছেন। আমরা প্রতিটি সুযোগে এই বিষয়টি তুলে ধরেছি যে আমরা ভ্লাদিমির পুতিনের আয়ের উৎস বন্ধ করতে চাই।”
ভারত কেন রাশিয়ার থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে, এই প্রশ্নের উত্তরে কর্মকর্তাটি জানান, এই মুহূর্তে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে আমেরিকা ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে। এর ফলে মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। এই শুল্ক আমেরিকার পক্ষ থেকে অন্য কোনও দেশের উপর চাপানো শুল্কের তুলনায় অন্যতম সর্বোচ্চ।
তবে এই চাপের মুখেও যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসাবেই দেখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে আইএফসিএ আইনের আওতায় আনা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। এর ফলে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন প্রকল্পে ভারতের চাবাহার বন্দর ব্যবহারের যে ছাড় ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লক্ষ ডলারের নতুন ফি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ চলছে বলে তিনি জানান।
তবে সাম্প্রতিক এই উত্তেজনার মাঝেও দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা দাবি করেন। তিনি বলেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স চলতি বছরে ভারত সফরে এসে ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে ‘২১ শতককে সংজ্ঞায়িত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনও একই বিশ্বাস করে।