এই সহজ উপায়েই দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, আর চিন্তা নেই পেটের নোংরা পরিষ্কার করা নিয়ে – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
পেটের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সারাদিন অস্বস্তি লাগে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে পেট ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না, আর এর ফলে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকে না। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য অবহেলা করলে তা জটিল রোগের কারণ হতে পারে। পেটে ব্যথা, সকালে মলত্যাগে সমস্যা, এবং পেট পুরোপুরি পরিষ্কার না হওয়ার মতো সমস্যায় ভোগেন অনেকেই।
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে জল ও অন্যান্য তরল পদার্থের ঘাটতি কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম প্রধান কারণ। তরলের অভাবে অন্ত্রে মল শুকিয়ে যায়, ফলে মলত্যাগের সময় চাপ প্রয়োগ করতে হয়, যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। এ ধরনের সমস্যা সমাধানে চিকিৎসকরা সাধারণত জাউ বা খিচুড়ির মতো হালকা এবং তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ছাড়াও, গরম জল পান করাও উপকারী হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কয়েকটি আয়ুর্বেদিক উপায় দারুণ কাজ করে। এর মধ্যে কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলো:
- গুড় ও গুলঞ্চ: শোয়ার আগে গুড়ের সঙ্গে গুলঞ্চের গুঁড়ো মিশিয়ে দুই চামচ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। এই দুটি উপাদান সমান পরিমাণে মেশানো জরুরি।
- সৈন্ধব লবণ ও ত্রিফলা: ১০ গ্রাম সৈন্ধব লবণ, ১০ গ্রাম ত্রিফলা এবং ১০ গ্রাম জোয়ান একসঙ্গে গুঁড়ো করে চূর্ণ তৈরি করুন। প্রতিদিন হালকা গরম জলের সঙ্গে এই চূর্ণ ৩ থেকে ৫ গ্রাম পরিমাণ খেলে পুরনো কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হবে।
- হরিতকি: প্রতিদিন রাতে হরিতকি গুঁড়ো করে উষ্ণ গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং পেটে গ্যাস জমা বন্ধ হয়।
- পেয়ারা ও পেঁপে: পাকা পেয়ারা এবং পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুবই উপকারী। এই ফল দুটি দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যায়।
- কিশমিশ: কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
- পালং শাক: পালং শাকের রস বা এর তরকারি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।