বাংলা বিজেপিকে এক সুতোয় বাঁধতে বাংলায় এলেন শাহ-র দুই ‘চাণক্য’! কিন্তু কে এই ভুপেন্দ্র ও বিপ্লব দেব? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মাঠে নামতে চলেছে বিজেপি। ভোটের দামামা বাজতে এখনও বাকি ৭-৮ মাস, কিন্তু তার আগেই দলের অগোছালো অবস্থা ও অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে মাঠে নেমেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই লক্ষ্যেই এবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হল অমিত শাহ-র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদবকে।
ভুপেন্দ্র যাদবকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে বিজেপি। রাজস্থানের এই নেতা বর্তমানে কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের দায়িত্বে আছেন। বিজেপিতে তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড বেশ ভালো। এর আগেও তিনি একাধিক রাজ্যে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন এবং সাফল্য পেয়েছেন। শুধু ভুপেন্দ্র নন, তাঁর সঙ্গী হিসেবে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে। বাংলাভাষী হওয়ায় বিপ্লব দেব বাংলার রাজনীতি সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল। অতীতে হরিয়ানার পর্যবেক্ষক হিসাবেও তিনি যথেষ্ট সফল হয়েছেন। দলের এই দুই রণকৌশল বিশেষজ্ঞের ওপরই ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির।
সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে পরিবর্তন এসেছে। শমীক ভট্টাচার্য দলের ভাবমূর্তি বদলানোর চেষ্টা করছেন। অতি হিন্দুত্ব ও অতি হিন্দিত্বের বদলে তিনি দলকে নরমপন্থী এবং বাঙালির দল হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন। কিন্তু দলের গোষ্ঠীকোন্দল এখনও মেটানো যায়নি। পুরোনো কর্মীদের অনেকেই এখনও দলে নিজেদের জায়গা ফিরে পাননি। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভালোভাবেই জানে, এভাবে দল ঐক্যবদ্ধ না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করা কঠিন। তৃণমূল যখন বাঙালি অস্মিতা ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মতো বিষয়গুলি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে, তখন বিজেপি এখনও দিশাহীন। কর্মীদেরও সেভাবে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। তাই দলের গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে সবস্তরের কর্মীকে মাঠে নামানোই এখন বিজেপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আর এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ভুপেন্দ্র যাদব ও বিপ্লব দেবের উপরই আস্থা রাখল দল। তবে বিজেপির এই পদক্ষেপ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। শাসক দলের বক্তব্য, “বিপ্লব দেবকে ত্রিপুরায় ব্যর্থ মনে করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁকেই এখন বাংলার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। এটা বিজেপির সাংগঠনিক ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়।”