‘যুবসমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে’ রাহুলের নিশানায় মোদি সরকার, চাকরি চুরি ও ভোট কারচুপি নিয়ে উত্তাল রাজনীতি – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

বেকারত্ব ও ভোট কারচুপি নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, দেশের যুবসমাজকে হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। রাহুল এক্স প্ল্যাটফর্মে একটি দীর্ঘ পোস্টে বলেছেন, দেশে তরুণদের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকারত্ব এবং এর মূল কারণ ভোট চুরি।

রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং ভোট কারচুপি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এর ফলে দেশে গত ৪৫ বছরের মধ্যে বেকারত্ব সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি আরও বলেন, যতদিন দেশে ভোট চুরি চলতে থাকবে, ততদিন বেকারত্ব ও দুর্নীতি বাড়তেই থাকবে। কিন্তু এখন দেশের যুবসমাজ চাকরি চুরি ও ভোট চুরি আর বেশিদিন বরদাস্ত করবে না।

কংগ্রেস নেতা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন, যখন কোনো সরকার জনগণের বিশ্বাস জিতে ক্ষমতায় আসে, তখন তার প্রথম কাজ হলো যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। কিন্তু বর্তমান সরকার সৎভাবে ভোট জিতে আসেনি, তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এর ফলস্বরূপ, চাকরি কমছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং দেশের যুবকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন প্রতিটি সরকারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে এবং প্রতিটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পিছনে একটি করে বড় দুর্নীতি চক্র কাজ করছে?

রাহুল বলেন, দেশের যুবকরা কঠোর পরিশ্রম করে এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র নিজের প্রচার নিয়ে ব্যস্ত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার শিল্পপতি ও ধনকুবেরদের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, আর দেশের যুবকদের স্বপ্ন ভেঙে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। দেশের যুবকরা বুঝতে পারছে যে শুধুমাত্র একটি চাকরি জোগাড় করাই আসল লড়াই নয়। ভোটচুরির বিরুদ্ধেও তাদের লড়াই করতে হবে। কারণ দেশপ্রেমের অর্থ এখন বেকারি ও ভোটচোরদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা। রাহুল তাঁর পোস্টের সঙ্গে দুটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। একটিতে চাকরিপ্রার্থী যুবকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের দৃশ্য দেখা যায়, আর অন্যটিতে প্রধানমন্ত্রীকে চারাগাছ রোপণ, ময়ূরকে খাওয়ানো ও যোগাভ্যাস করতে দেখা যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *