প্রশান্ত কিশোরের ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ, জন সুরাজ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারে বিজেপির চাপ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
বিহার নির্বাচনের আগে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাচনী কৌশলবিদ-থেকে-রাজনীতিক প্রশান্ত কিশোর। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, বিজেপি-র চাপের মুখে তাঁর দলের তিন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, জন সুরাজের তিন প্রার্থী মুতুর শাহ (দানাপুর), সত্যপ্রকাশ তিওয়ারি (ব্রহ্মপুর) এবং শশী শেখর সিনহা (গোপালগঞ্জ) বিজেপি-র প্রভাবে মনোনয়ন তুলে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন কিশোর।
জন সুরাজ প্রধান বলেন, “বিজেপি গত কয়েক বছরে এমন একটি ধারণা তৈরি করেছে যে যেই জিতুক, শেষ পর্যন্ত সরকার গঠন করবে তারাই। যারা জন সুরাজকে ‘ভোট কাটার দল’ বলে অপমান করেছিল, আজ তারাই আতঙ্কিত। ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতেই এনডিএ (NDA) ভয় পেয়েছে।”
কিশোরের দাবি, এনডিএ মহাগঠবন্ধনকে নয়, বরং জন সুরাজকেই ভয় পাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে এই বলে যে ‘আমাদের ভোট না দিলে লালু যাদবের জঙ্গল রাজ ফিরে আসবে’। তবে এবার মানুষ জন সুরাজের রূপে তৃতীয় বিকল্প পেয়েছে।
মনোনয়ন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে কিশোর বলেন, মুতুর শাহ (দানাপুর) মনোনয়নপত্র জমা দেননি। বিজেপি যদিও অভিযোগ করেছে তাঁকে আরজেডি প্রার্থী অপহরণ করেছে, কিন্তু কিশোর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে মুতুর শাহের ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তোলেন, “একজন সাধারণ ব্যবসায়ী রাজনীতিতে নামলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে ডাকলে তার বিকল্প কী?”
একইভাবে ব্রহ্মপুরের প্রার্থী সত্যপ্রকাশ তিওয়ারি মাত্র তিন দিন প্রচারের পরই মনোনয়ন তুলে নেন এবং পরের ছবিতে তাঁকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের পাশে দেখা যায় বলে কিশোর দাবি করেন। গোপালগঞ্জের প্রার্থী শশী শেখর সিনহার ক্ষেত্রেও বিজেপি বিধায়ক ও অন্যান্য নেতারা চাপ সৃষ্টি করে তাঁকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ। সেই ছবিও তিনি জনসমক্ষে আনেন।
তিনি বলেন, জন সুরাজের ২৪০ জন যোদ্ধা এখনও ময়দানে আছেন এবং তাঁরা থামবেন না, বরং এনডিএ-কে উপড়ে ফেলবেন। কিশোরের প্রশ্ন, এনডিএ বাহুবলী বা বালি মাফিয়াদের নয়, বরং জন সুরাজের ডাক্তার, শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং সমাজকর্মী প্রার্থীদের ভয় পাচ্ছে।
কিশোর শেষে বলেন, “যদি প্রার্থীরা নিরাপদ না থাকেন, তবে ভোটাররা কীভাবে নিরাপদ থাকবে?” তিনি নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, জন সুরাজ পিছু হটবে না, বিহার বদলাবে।