“ভারতের সরকারকে সেনা চালায়!” পাকিস্তানি জেনারেলের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

পাকিস্তানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের দাবি প্রায়শই বিস্ময়কর ও হাস্যকর হয়, কিন্তু তাদের এই ধরনের মন্তব্যের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেই কারণেই বহু পাকিস্তানি বিশ্বাস করে যে তারা প্রতিটি যুদ্ধে ভারতকে পরাজিত করেছে এবং পাক সেনা ভারত জয় করতে পারে। এবার সেই ধারায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের পরের স্তরের কর্মকর্তা, জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এক অদ্ভুত মন্তব্য করেছেন।

জেনারেল মির্জা বলেছেন, “ভারতের রাজনীতিকে সেনা নিয়ন্ত্রণ করে।” যে দেশে প্রতি ১৫-২০ বছর অন্তর সামরিক শাসন জারি হয়েছে এবং যেখানে সেনাবাহিনীই কার্যত দেশের চালক, সেই দেশের একজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার মুখে ভারতের সামরিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এমন মন্তব্য হতবাক করার মতো।

পাকিস্তানের বাস্তবতা হলো, প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেনাপ্রধানের সঙ্গে পরামর্শ করেন। এমনকি বিদেশি রাষ্ট্রনেতারা ইসলামাবাদ না গিয়ে সেনার সদর দপ্তর রাওয়ালপিন্ডিতে গিয়ে বৈঠক করেন। যেমন, ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরিবর্তে সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দেখা করেছিলেন।

একটি অনুষ্ঠানে জেনারেল মির্জা আরও দাবি করেন যে “ভারতীয় সেনাবাহিনী রাজনৈতিক হয়ে উঠেছে এবং ভারতীয় রাজনীতি সামরিকীকরণের শিকার।” এর পরেই তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, “পরবর্তী যুদ্ধ শুধুমাত্র কাশ্মীর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না।” এই মন্তব্য কার্যত স্বীকার করে যে পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে আরও বৃহত্তর সন্ত্রাস ছড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

মির্জা আরও বলেছেন যে মে মাসের সংঘর্ষে পাকিস্তান নাকি “নিজেদের সম্পদের জোরে” লড়াই করেছিল। যদিও তথ্য বলছে, সেই সময় তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ করাচি বন্দরে ছিল, চীন পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছিল এবং তুরস্ক থেকে বায়রকতার টিবি-২ ড্রোনের জোগান এসেছিল। এর পাশাপাশি চীন নিয়মিত পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট থেকে লাইভ তথ্য দিয়ে সাহায্য করছিল।

তিনি এও বলেন, “ভারত প্রভাব বিস্তারের জন্য সামরিক শক্তি এবং পশ্চিমা সমর্থন ব্যবহার করে।” তবে প্রকৃত বাস্তবতা হলো, ভারত তার শক্তিশালী অর্থনীতি, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রভাব তৈরি করে। পাকিস্তান চাইলে ভারতের দেখানো পথে চলতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *