গৃহস্থালির সুরক্ষায় গ্যাস লিক চিহ্নিতকরণ ও দ্রুত পদক্ষেপ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

রান্নাঘরে গ্যাস লিক হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি থাকে। গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা, তা বুঝতে এবং সেই সময় দ্রুত কী কী পদক্ষেপ নেবেন, সেই বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি।

গ্যাস লিক হওয়ার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ

১. তীব্র ও অস্বাভাবিক গন্ধ

গ্যাসের নিজস্ব কোনো গন্ধ না থাকলেও সুরক্ষার জন্য এর সাথে মেশানো রাসায়নিকের কারণে একটি তীব্র, পচা ডিমের মতো বা টক গন্ধ অনুভূত হয়। এটি গ্যাস লিক হওয়ার প্রধান সূচক।

২. হিস হিস শব্দ

গ্যাস সিলিন্ডার বা পাইপলাইন থেকে যদি অস্বাভাবিকভাবে হিস হিস শব্দ শোনা যায়, তবে বুঝতে হবে গ্যাস দ্রুত লিক হচ্ছে।

৩. সরঞ্জাম ও পাইপলাইনের অবস্থা

রান্নার গ্যাস সংযোগের সরঞ্জাম, যেমন রেগুলেটর বা পাইপলাইনে কোনো ফাটল, ছিদ্র বা ক্ষয় দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। পুরোনো এবং ক্ষতিগ্রস্ত সরঞ্জাম গ্যাস লিক হওয়ার কারণ হতে পারে।

৪. স্যাঁতসেঁতে বা শুকনো দাগ

গ্যাস লিক হওয়ার কারণে সিলিন্ডারের চারপাশের এলাকায় বা পাইপের সংযোগস্থলে অস্বাভাবিকভাবে জলীয় বাষ্প জমা হতে পারে, যা স্যাঁতসেঁতে ভাব বা দাগ তৈরি করে।

৫. বুদবুদ পরীক্ষা

সিলিন্ডারের মুখে সামান্য জল দিলে যদি ছোট ছোট বুদবুদ তৈরি হয়, তবে তা নিশ্চিত করে যে গ্যাস লিক হচ্ছে।

আগুন ও বিস্ফোরণের ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত যা করবেন

১. দরজা-জানালা খুলে দিন

সঙ্গে সঙ্গে ঘরের সমস্ত দরজা এবং জানালা খুলে দিন, যাতে লিক হওয়া গ্যাস দ্রুত বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে।

২. মূল সুইচ বন্ধ করুন

দ্রুত সিলিন্ডারের বা গ্যাসের মূল সরবরাহকারী সুইচটি বন্ধ করে দিন। এটি সাধারণত গ্যাসের মিটারের কাছে থাকে।

৩. আগুন ও স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করবেন না

সুইচ বোর্ড, লাইট, ফ্যান, মোবাইল চার্জার বা ম্যাচের কাঠি—সবকিছু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। একটি ছোট স্ফুলিঙ্গও বড়সড় বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

৪. জরুরী পরিষেবাতে যোগাযোগ

যদি গ্যাসের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে ভবন ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে যান এবং স্থানীয় গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা বা জরুরি পরিষেবাতে খবর দিন।

৫. নিরাপদ স্থানে সরে যান

গ্যাস লিক হলে দেরি না করে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ুন। বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে দ্রুত বিল্ডিং খালি করুন। যোগাযোগ করার আগে নিজের এবং অন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

এই সতর্কতাগুলি মেনে চললে রান্নাঘরে গ্যাস লিকজনিত বড় দুর্ঘটনা সহজেই এড়ানো সম্ভব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *