পাকিস্তানে নাবালিকা ‘কনে’ বিক্রি হচ্ছে চীনে, বিয়ের নামে যৌন নির্যাতন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের ‘অটুট বন্ধুত্বের’ আবহে দেদার বিক্রি হচ্ছে নাবালিকা ‘কনে’। উৎসবের মরশুমের আগে এই ভয়ঙ্কর পাচারের কাহিনি আবারও সামনে এসেছে, যা বছরের পর বছর ধরে চলে এলেও থামেনি। তথ্য ফাঁস হলেও কারবারিদের ধরতে পারেনি প্রশাসন।

কোথায় চলে এই বাজার?

যদিও পাকিস্তানের কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় এই ‘কনের বাজার’ বসে না, তবে পাচারের কাজ চলে মূলত পাকিস্তান ও চীনের সীমান্ত এলাকায়। ওই সীমান্ত এলাকার গ্রাম থেকেই নাবালিকাদের কনে সাজিয়ে চীনে পাচার করা হয়।

মূলত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাবালিকারা শিকার

তথ্য অনুযায়ী, পাচার হওয়া নাবালিকাদের অধিকাংশই সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। মূলত ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদেরই বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে পরিবার পাচার করে দেয়। চীনের জনসংখ্যার পুরুষের আধিক্য (নারীদের তুলনায় ৩৫ মিলিয়ন বেশি) থাকায় সেখানে এই ‘কনেদের’ চাহিদা থাকে তুঙ্গে।

কত দামে বিক্রি হয় ‘কনে’?

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বয়স, সৌন্দর্য ও সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে নাবালিকাদের দাম ওঠে। সবমিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় দুই থেকে নয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এই অর্থ নিয়ে দরিদ্র পরিবারগুলো তাদের মেয়েদের চীনের বাসিন্দাদের কাছে তুলে দেয়।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চরম যৌন নির্যাতন

সমাজকর্মীরা জানিয়েছেন, দারিদ্র্য ঘোচাতেই চীনের ধনী পরিবারের হাতে মেয়েদের তুলে দেয় পরিবার। শুরুতেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও, পরিণতি হয় ভয়ঙ্কর। এই নাবালিকাদের অধিকাংশকেই পুরুষরা যৌন দাসী হিসেবে ব্যবহার করেন। কখনও কখনও বাড়ির পরিচারিকা হিসেবেও কাজ করতে বাধ্য করা হয়। বিয়ের নামে চলে নির্মম যৌন অত্যাচার।

পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬২৯ জন নাবালিকাকে চীনে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। নকল পাসপোর্ট, ভিসা দেখিয়ে বেআইনিভাবে এই পাচার কাজ সংগঠিত হয়, কখনও আবার আজারবাইজান হয়েও নাবালিকাদের চীনে পাঠানো হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্রি করা হলেও, তাদের আজীবন যৌন দাসী হয়েই কাটাতে হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *