চাষির মাথায় হাত! ধান বিক্রির নতুন নিয়মে লোকসান, বাড়তি ধান যাচ্ছে ফড়েদের হাতে – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা (New Guideline) অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬) একজন কৃষক একবারে সর্বোচ্চ ১৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। গত বছর এই সীমা ৩০ কুইন্টাল ছিল। পাশাপাশি, সর্বোচ্চ বিক্রির পরিমাণ ৯০ কুইন্টাল ধার্য হয়েছে। এই কড়াকড়ির ফলে রাজ্যের বহু প্রান্তিক চাষি সমস্যায় পড়েছেন।
ঝাড়গ্রামসহ একাধিক জেলার কৃষকদের অভিযোগ, পরিবারে একাধিক জমি ও সদস্য থাকলেও কৃষক ক্রেডিট কার্ড সাধারণত একটাই থাকে। ফলে ১৫ কুইন্টালের বেশি ধান উৎপাদিত হলেও একবারে বিক্রি করা যাচ্ছে না। জমির কাগজপত্রের অভাবেও বহু জনজাতি কৃষক সরকারি মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে পারছেন না।
এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই অনেক কৃষক খোলা বাজারে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন, যার ফলে লাভবান হচ্ছে ফড়েরা। মানিকপাড়ার কৃষক সঞ্জয় দত্ত জানান, নতুন নিয়মের কারণে তাঁদের মতো অনেকেই সরকারি দামের চেয়ে ৫০০-৬০০ টাকা কমে ধান ফড়েদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
চাষিদের দাবি, ধানের বিক্রির সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জমির পরিমাণ বিবেচনা করা প্রয়োজন, নয়তো প্রকৃত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং ফড়েরা এই নিয়মের সুযোগ নেবে। বাঁকুড়ার এক কৃষকের কথায়, ‘প্রকৃত চাষিরা ৩০ কুইন্টালের বেশি বিক্রি করতে পারছেন না, অথচ সামান্য জমি দেখিয়ে কার্ড করা ফড়েরা এই সুযোগ নিয়ে কম দামে কেনা ধান কিষাণ মান্ডিতে বিক্রি করছে।’
ঝাড়গ্রাম জেলা খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক সুজয় দাস অবশ্য সমস্যার কথা স্বীকার করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এখন দেখার, খাদ্য দফতর প্রকৃত কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়।