‘চাই না বলিনি!’ — শুভেন্দুর কথায় কী লুকিয়ে আছে রাজনৈতিক ইঙ্গিত? – এবেলা
.jpeg.webp?ssl=1)
এবেলা ডেস্কঃ
প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে বিজেপি ‘বিজয় সংকল্প সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভা থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকার ও শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন।
মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ জানেন কীভাবে ৬-০ করতে হয়। এই সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে, না হলে পশ্চিমবঙ্গ থাকবে না।” এর পরই সংখ্যালঘু ভোট প্রসঙ্গে কার্যত বিতর্কিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা মুসলিম ভোট পাই না, আমি বলিনি চাই না। নরেন্দ্র মোদী আপনাদের সব দিয়েছে। আজ তাঁদের সামনে রেখে রাজনীতি চলছে।”
আরও কড়া সুরে শুভেন্দুর দাবি, “অনেকেই ভারতীয় মুসলমান নন, তারা অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। বিএসএফকে জমি দেয়নি রাজ্য সরকার। বাংলাদেশেও এখন হিন্দুরা ভালো নেই, পশ্চিমবঙ্গেও হিন্দুদের সংখ্যা কমছে। ২০২৭-এ জনগণনা হলে দেখা যাবে হিন্দুরা ৬৫ শতাংশে নেমে গেছে।”
ধর্মীয় মন্তব্যের পাশাপাশি বিজেপি নেতার অভিযোগ, “এই রাজ্যে চাকরি নেই, পিএসসি নেই, এসএসসি নেই। গত এক বছরে তৃণমূল সরকার ৮ হাজারের বেশি স্কুল বন্ধ করেছে। তৃণমূল থাকলে চাকরিও হবে না, ভবিষ্যৎও হবে না।” ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে বিজেপির এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গঙ্গারামপুরের সভায় সবমিলিয়ে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
শিল্প, জল প্রকল্প ও আবাস যোজনা নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “টাটাদের পর একের পর এক শিল্প পালিয়েছে। গ্রামে গ্রামে তাই জোট বাঁধতে হবে।” এই প্রসঙ্গে তিনি নতুন স্লোগানও তোলেন – ‘আমার পাড়া, তৃণমূলকে তাড়া’। এর মাধ্যমে তিনি রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প – ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’-কে কটাক্ষ করেন।
বিরোধী দলনেতা বলেন, কেন্দ্র আবাস যোজনায় ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে, তবু মানুষ ঘর পাচ্ছেন না। জল আছে, নল নেই – এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। শেষে তিনি তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “তৃণমূল এখন ধর্ষকদের পার্টি। কামদুনি থেকে কালিয়াগঞ্জ – একটার পর একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে না তাড়ালে পরিস্থিতি পাল্টাবে না।”
আমি আপনার জন্য এই প্রতিবেদনটির একটি ভিন্ন, কিন্তু আকর্ষণীয় শিরোনাম প্রস্তুত করতে পারি। আপনি কি একটি বিকল্প শিরোনাম দেখতে চান?