আমেরিকা-রাশিয়া শান্তি চুক্তি না হলে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক নয়, স্পষ্ট জানালেন ট্রাম্প – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পাঁচ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া বার্তা দিলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে কোনো চুক্তির সম্ভাবনা না থাকলে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আর বৈঠকে বসবেন না।
এশিয়া সফরে যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি আগে জানতে চাই যে আমরা একটি চুক্তি করছি কি না। আমি আমার সময় নষ্ট করতে যাচ্ছি না।” এর আগে বুদাপেস্টে দুই নেতার বৈঠকের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার সবসময়ই দারুণ সম্পর্ক ছিল, কিন্তু এটা খুব হতাশাজনক।” ট্রাম্প ও পুতিন শেষবার আলাস্কায় ১৫ আগস্ট বৈঠক করেছিলেন, যা উভয় পক্ষই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য সহায়ক বলে দাবি করেছিল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন শান্তি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন, তখন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা থামার কোনো লক্ষণ নেই। শনিবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় অন্তত চারজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুইজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হন বলে জানিয়েছে শহর পুলিশ। ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে দুইজন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক গভর্নর ভ্লাদিস্লাভ হাইভানেনকো জানিয়েছেন, হামলায় অ্যাপার্টমেন্ট এবং ব্যক্তিগত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলা চলার মুখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সামরিক সহায়তার জন্য নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন। শুক্রবার জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের নিষেধাজ্ঞার পরিধি দুইটি রুশ তেল কো ম্পা নি থেকে পুরো তেল খাতের ওপর সম্প্রসারিত করার অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে রাশিয়ার ওপর পাল্টা আঘাত হানার জন্য তিনি দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের দাবি জানান।
জেলেনস্কি বর্তমানে লন্ডনে দুই ডজনেরও বেশি ইউরোপীয় নেতার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আয়োজিত এই বৈঠকের লক্ষ্য হলো পুতিনের ওপর চাপ বাড়ানো এবং ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে রুশ আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য সামরিক সাহায্য জোগাড় করা। অন্যদিকে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মঙ্গলবার প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাশিয়া এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে।