এদের সব কিছুতেই বিরক্তি! কোন ৫ রাশির জাতক-জাতিকারা হন সবচেয়ে খিটখিটে? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

রাশিচক্রের ভিন্নতার কারণে প্রতিটি মানুষের স্বভাব হয় আলাদা। কেউ শান্ত, কেউবা চঞ্চল; আবার কিছু রাশির জাতক-জাতিকারা হন প্রচণ্ড খিটখিটে মেজাজের। ছোটখাটো বিষয়েও এঁরা বিরক্ত হন, দ্রুত রেগে যান এবং প্রায়শই অন্যদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, ১২টি রাশির মধ্যে এমন পাঁচটি রাশি রয়েছে, যাঁদের মধ্যে এই খিটখিটে স্বভাব বেশি দেখা যায়।

এই ৫ রাশি এবং তাঁদের মেজাজের কারণগুলি নিচে আলোচনা করা হলো:

মেষ রাশি (২১ মার্চ-১৯ এপ্রিল): মঙ্গলের আধিপত্যের কারণে এই রাশির জাতক-জাতিকারা স্বভাবগতভাবে উগ্র ও আবেগপ্রবণ হন। এঁরা সামান্য কারণেই বিরক্ত হন এবং রেগে যান, যা মেজাজকে খিটখিটে করে তোলে। কঠিন পরিস্থিতিতে এঁদের বিরক্তি আরও বাড়ে। মেষ রাশির জাতকরা এই স্বভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে খেলাধূলায় মন দিতে পারেন।

কর্কট রাশি (২১ জুন-২২ জুলাই): চন্দ্র দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত স্পর্শকাতর হন, যার ফলে তাঁদের মেজাজের ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। এঁদের বিরক্তি সাধারণত মানসিক সংবেদনশীলতা থেকে আসে এবং এর ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে। শান্ত পরিবেশে থাকলে এঁরা নিজেদের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-১৯ জানুযারি): শনির নির্দেশনায় পরিচালিত মকর রাশির জাতক-জাতিকারা তাঁদের অপূর্ণ প্রত্যাশার মুখে পড়লে বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারেন। এঁদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বভাব অনেক সময় হতাশার কারণ হয়। মকর রাশির জাতকরা প্রাণায়াম বা ধ্যানের মাধ্যমে নিজেদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২২ অগাস্ট): সূর্যের দ্বারা শাসিত সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারাও বিরক্তিকর আচরণ করতে পারে, বিশেষত যখন তাঁদের অহমিকায় আঘাত লাগে। প্রশংসা ও জনপ্রিয়তার প্রতি এঁদের আগ্রহ বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই রাশির জাতকরা রাগ কমিয়ে আনলে খিটখিটে মেজাজ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): ইউরেনাসের প্রভাবে চালিত কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে সর্বাধিক মূল্য দেন। তাঁদের স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করলেই মেজাজ বিগড়ে যায়। এঁদের এই বিদ্রোহী মনোভাব অনেক সময় বিরক্তির জন্ম দেয়। কুম্ভ রাশির জাতকরা মেডিটেশনের মাধ্যমে নিজেদের সংযত করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *