কমলা হ্যারিস ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে নামার ইঙ্গিত ‘আমি ফুরিয়ে যাইনি’ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ২০২৮ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিবিসির ‘সানডে উইথ লরা কুয়েন্সবার্গ’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই সম্ভাবনার কথা জানান। ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যাওয়ার পর এই প্রথম হোয়াইট হাউসে ফেরার লড়াইয়ে নামার বিষয়ে কথা বললেন তিনি। এটি কোনো ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকার।
সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি মনে করেন কি না ভবিষ্যতে কোনো নারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন? উত্তরে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত, আমার নাতি-নাতনিরা তাদের জীবদ্দশায় অবশ্যই একজন নারী প্রেসিডেন্ট দেখতে পাবে।” এরপর তিনি নিজেই সেই নারী হতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট সরাসরি বলেন, “সম্ভবত।” এর মাধ্যমে তিনি দেশের শীর্ষ পদের জন্য আরেকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন বলে নিশ্চিত করেন।
কমলা হ্যারিস জানান, তিনি এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি, তবে জোর দিয়ে বলেন যে তিনি রাজনীতিতে তাঁর ভবিষ্যৎ দেখছেন। তিনি বলেন, “আমি এখনও ফুরিয়ে যাইনি। আমি আমার পুরো কর্মজীবনই মানুষের সেবায় কাটিয়েছি। এটা আমার রক্তে মিশে আছে।”
নিজের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে কমলা তাঁকে ‘স্বৈরশাসক‘ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে তিনি যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তা আজ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
বর্তমানে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন দৌড়-সংক্রান্ত এক জরিপে কমলা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধারেকাছেও নেই। এমনকি তিনি হলিউড অভিনেতা ডোয়াইন জনসনের (দ্য রক) চেয়েও পিছিয়ে আছেন বলে তথ্যে দেখা যাচ্ছে। তবে এই তথ্যের ফলাফল উড়িয়ে দিয়ে কমলা বলেন, তিনি কখনও এসব ফলে কান দেন না। তাঁর ভাষায়, “আমি যদি এসব কথা শুনতাম, তাহলে আমার প্রথম অফিস বা দ্বিতীয় অফিসের জন্য লড়তাম না। আর নিশ্চিতভাবেই আজ এখানে বসতে পারতাম না।”
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাঁধেই বেশির ভাগ দায় চাপানো হচ্ছে। অন্যদিকে, কমলাও ভালোভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারতেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে দলের অন্দরে।