বিচ্ছেদের জের: রাগের মাথায় যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে খুন বাবার, শিউরে ওঠা কাণ্ড – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে চরম আক্রোশ থেকে দুই যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল এক বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলায়। অভিযুক্ত বাবা নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ওয়াসিম জেলার বাসিন্দা রাহুল চৌহান স্ত্রী ও দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। পথেই স্ত্রীর সঙ্গে তার তুমুল বচসা শুরু হয়। ঝগড়া চরমে পৌঁছালে স্ত্রী মাঝপথ থেকে বাপের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর রাহুল তার দুই কন্যাসন্তানকে নিয়ে গন্তব্যের দিকে যাওয়ার পথে তাদের জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায় এবং গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে বলে অভিযোগ।
খুনের পরই রাহুল ওয়াসিম থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে এবং পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের নজরে এসেছে যে যমজ সন্তানের দেহ দুটি আংশিক অগ্নিদগ্ধ ছিল। অভিযুক্তের দেওয়া খুনের বিবরণের সঙ্গে মৃতদেহগুলির আঘাতের চিহ্নের অসঙ্গতি থাকায় পুলিশের সন্দেহ, খুন করার পদ্ধতি লুকানোর জন্য রাহুল শিশুদের পুড়িয়েও দিতে পারে। খুনের সঠিক কারণ জানতে ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক মণীশা কদম জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
হায়দরাবাদে একই ধরনের ঘটনা
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই হায়দরাবাদে এক তরুণী স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুই বছরের যমজ সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর পাঁচ তলা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই তরুণীর নাম চল্লরী সাইলক্ষ্মী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছরের যমজ সন্তানের মধ্যে একজনের কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছিল, যা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিয়মিত ঝামেলা হতো। এই মানসিক অবসাদের জেরেই তরুণী এমন চরম পদক্ষেপ নেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তরুণীর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে এবং পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।