ষষ্ঠীর আগে ‘খরনা’ আজ, এই বিশেষ প্রসাদ ছাড়া আসাম্পূর্ণ ছট পূজা – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
নহায়-খায়ের পর আজ ছট পূজার দ্বিতীয় দিন। এই দিনটি ‘খরনা’ বা ‘লোহান্ডা’ নামেও পরিচিত। ছট ব্রত পালনকারীদের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বলে বিবেচিত, কারণ এই দিন থেকেই প্রকৃত তপস্যা ও ভক্তির শুরু হয়।
খরনা পূজার তাৎপর্য
‘খরনা’ শব্দের অর্থ পাপের ক্ষয় এবং আত্মার শুদ্ধি। ছট পূজার এই দিনে ব্রতীরা সারাদিন ধরে নির্জলা উপবাস রাখেন। সূর্যাস্তের পর স্নান ও পূজা সম্পন্ন করে তাঁরা প্রসাদ গ্রহণ করেন। এই প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে আগামী দুই দিনের কঠোর ব্রত পালনের সূচনা হয়। তাই খরনা আত্মসংযম, পবিত্রতা এবং ভক্তির প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।
ধর্মীয় গুরুত্ব
খরনার দিনটি সাধক এবং সূর্যদেবের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে মনে করা হয়। এই দিনে ব্রতীরা সূর্যদেবের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন যাতে তাঁরা আগামী দুই দিনের উপবাস নিষ্ঠা ও শুদ্ধতার সাথে সম্পূর্ণ করতে পারেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, খরনা পূজা করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্য আসে। এটি কেবল পূজাই নয়, আত্মশুদ্ধি ও মানসিক শান্তিরও উৎসব।
খরনার বিশেষ প্রসাদ
খরনা পূজার প্রসাদে সরলতা ও পবিত্রতার গভীর বার্তা লুকিয়ে থাকে। প্রধানত দুটি বিশেষ পদ তৈরি করা হয়:
- রসিয়া ক্ষীর দুধ, চাল এবং গুড় দিয়ে তৈরি এই ক্ষীরকে ‘মিষ্টতা ও সন্তুষ্টির প্রতীক’ মানা হয়। এতে চিনির ব্যবহার হয় না, তাই একে গুড়ের ক্ষীরও বলা হয়।
- সোহরি খুব সামান্য দেশি ঘি-এ হালকা সেঁকা একধরনের পাতলা রুটি, যা সোহরি নামে পরিচিত। এটি শ্রম, সাধনা এবং পূজার সূক্ষ্মতার প্রতীক বলে মনে করা হয়।