পাঁচ মাসে ৪ বার ধর্ষণ! তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যায় অভিযুক্ত সেই ASI অবশেষে গ্রেফতার, ফাঁসির দাবি পরিবারের – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ফলটনের এক সরকারি হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যায় অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোপাল বদন অবশেষে গ্রেফতার হলেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকা এই পুলিশ আধিকারিক শনিবার সন্ধ্যায় ফলটন গ্রামীণ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার হোটেলের রুম থেকে ওই চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মঘাতী হওয়ার আগে তিনি তাঁর বাঁ হাতের তালুতে একটি সুইসাইড নোট লিখে যান, যেখানে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন—বাড়িওয়ালার ছেলে প্রশান্ত বাঙ্কার এবং এএসআই গোপাল বদন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত বাঙ্কারের সঙ্গে ওই চিকিৎসকের সম্পর্ক ছিল। তবে অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ আধিকারিক গোপাল বদন তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই চিকিৎসক অভিযোগ করেন যে তাঁকে মানসিকভাবেও নির্যাতন করা হয়, যার ফলেই তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। তরুণীর পরিবার অভিযোগ করেছে, মাত্র পাঁচ মাসে তাঁকে চারবার ধর্ষণ করা হয়েছে।
শনিবার সকালেই পুলিশ প্রশান্ত বাঙ্কারকে গ্রেফতার করে। সাতারার পুলিশ সুপার তুষার দোশি পিটিআইকে জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় গোপাল বদন ফলটন গ্রামীণ থানায় আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, এই মর্মান্তিক ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে তরুণীর পরিবারের লোকজন। তাঁর বাবা অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শনিবার বলেছেন, “এই ঘটনায় কাউকেই ছাড়া হবে না। তদন্তের পর অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।”