১০০ বছরে প্রথমবার কার্তিক পূর্ণিমায় এই ২ কাজ করলেই ভরে উঠবে আপনার ভাঁড়ার, জেনে নিন তারিখ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
হিন্দু ধর্মে কার্তিক পূর্ণিমাকে অত্যন্ত পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে মানা হয়। এটিকে ‘ত্রিপুরারি পূর্ণিমা’ও বলা হয় কারণ এই দিনেই দেবাদিদেব মহাদেব ত্রিপুরাসুর নামক অসুরকে বধ করেছিলেন।
আবার এই দিনটি শিখ ধর্মের প্রথম গুরু, গুরু নানক দেব জির জন্মদিবস হওয়ায় এটি ‘প্রকাশ পর্ব’ হিসেবেও পালিত হয়। অন্য একটি বিশ্বাস অনুসারে, এই সন্ধ্যায় স্বর্গ থেকে সমস্ত দেবী-দেবতা মর্ত্যে গঙ্গা স্নান করতে আসেন, তাই এটিকে ‘দেব দীপাবলি’ও বলা হয়। এই দিনটি এতই শুভ যে এই দিনে করা কোনো দান, পূজা বা টোটকা বহুগুণ বেশি ফল দেয়। বিশেষত, ধন-সম্পদের দেবী মা লক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য এই দিনটি সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়। যদি আপনিও আর্থিক সঙ্কটে ভুগে থাকেন, তবে এই কার্তিক পূর্ণিমার কিছু বিশেষ প্রতিকার আপনার ভাগ্য উজ্জ্বল করতে পারে।
কার্তিক পূর্ণিমা কবে?
পঞ্জিকা অনুসারে, এ বছর কার্তিক পূর্ণিমার তিথি শুরু হবে ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১০টা ৩৬ মিনিটে এবং শেষ হবে ৫ নভেম্বর (বুধবার) রাত ৮টা ২৪ মিনিটে। যেহেতু হিন্দু ধর্মে উদয় তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তাই পূর্ণিমার ব্রত, স্নান এবং পূজা ৫ নভেম্বরই করা হবে।
১০০ বছর পর বিরল ‘মহাসংযোগ’
এবারের কার্তিক পূর্ণিমা আরও বিশেষ হতে চলেছে কারণ জ্যোতিষ গণনা অনুযায়ী, এই দিনে ১০০ বছর পর এক অত্যন্ত বিরল এবং শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে। এই দিনে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, অমৃত সিদ্ধি যোগ এবং অশ্বিনী নক্ষত্র এক সঙ্গে মিলিত হচ্ছে। এই তিনটি শুভ যোগের এক সঙ্গে সৃষ্টি হওয়া এটিকে একটি ‘মহাসংযোগ’ করে তুলছে, যেখানে করা কোনো পূজা বা প্রতিকার কখনও বিফলে যায় না এবং প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ হয়।
মা লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করার ২ নিশ্চিত টোটকা
আপনি যদি চান যে মা লক্ষ্মীর কৃপা আপনার উপর বর্ষিত হোক এবং আপনার ভাঁড়ার যেন কখনও খালি না হয়, তবে এই মহাসংযোগে এই দুটি সহজ প্রতিকার অবশ্যই করুন:
১. লাল ফুল এবং কনকধারা স্তোত্র পাঠ
পূর্ণিমার দিন মা লক্ষ্মীর পূজায় লাল রঙের ফুল (যেমন জবা বা গোলাপ) দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যায় পূজার সময় মা লক্ষ্মীর চরণে লাল ফুল অর্পণ করুন এবং তাঁর সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে ‘কনকধারা স্তোত্র’ পাঠ করুন।
কেন এটি বিশেষ: কনকধারা স্তোত্রকে ধন-সম্পদ লাভের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী মন্ত্র বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই স্তোত্র পাঠ করলে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত প্রসন্ন হন এবং জীবনে ধন-সম্পদ, সুখ ও সমৃদ্ধির কখনও অভাব হয় না।
২. হলুদ ও ১১টি কড়ির ‘চমৎকারী’ প্রতিকার
এই প্রতিকারটি ধন-সম্পদ সম্পর্কিত সমস্যা দূর করার জন্য খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়।
কী করবেন: পূর্ণিমার দিন পূজার সময় ১১টি হলুদ কড়ি নিন। এগুলিতে গুঁড়ো হলুদের প্রলেপ লাগান এবং মা লক্ষ্মীর চরণে অর্পণ করুন। এরপর লক্ষ্মী চালিসা পাঠ করুন। পূজা শেষ হওয়ার পরে, এই কড়িগুলি তুলে একটি লাল কাপড়ে বেঁধে আপনার সিন্দুক বা যেখানে টাকা রাখেন সেখানে রেখে দিন।
কেন এটি বিশেষ: কড়িগুলিকে মা লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। হলুদের সঙ্গে এগুলিকে সিন্দুকে রাখলে ধন আকৃষ্ট হয় এবং অর্থ সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা দূর হয়।
এই কার্তিক পূর্ণিমার দুর্লভ সুযোগের সম্পূর্ণ সুবিধা নিন এবং এই সহজ প্রতিকারগুলির মাধ্যমে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করুন।