কুড়ি বছরের দাম্পত্য, তিন সন্তানের জন্ম! তারপর স্বামী বললেন, ‘তুমি আমার আইনত স্ত্রী নও’ – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে একসঙ্গে ঘর করার পর অবশেষে বেঁকে বসলেন স্বামী। শুধু তাই নয়, ওই দম্পতির রয়েছে তিন সন্তানও। কিন্তু, সম্প্রতি স্বামী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ওই মহিলা তাঁর আইনত স্ত্রী নন। এই অভিযোগ তুলে মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের মুরার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মহিলা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই চন্দপাল যাদব নামে ওই ব্যক্তিকে ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পীড়িতা মহিলার দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চন্দপাল দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে স্ত্রীর মতোই সঙ্গে রেখেছেন। এমনকি, ২০১৯ সালে সমস্ত রীতিনীতি মেনে তাঁদের বিয়েও হয়। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের তিনটি সন্তানও হয়েছে। কিন্তু গত তিন মাস আগে অভিযুক্ত চন্দপাল তাঁকে ও তাঁর সন্তানদের ত্যাগ করে আলাদা থাকতে শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলা এর আগেও বিবাহিত ছিলেন এবং তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, চন্দপাল যাদব তাঁর জীবনে এসে জোর করে সম্পর্ক তৈরি করেন এবং তাঁকে নিজের কাছে রাখতে শুরু করেন। চন্দপাল বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাঁর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন বলে মহিলার অভিযোগ। সব কিছু ঠিকঠাক চললেও, মাস তিনেক আগে আচমকা অভিযুক্ত তাঁকে ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকতে শুরু করেন।
এরপরই মহিলা চন্দপালের বাড়িতে যান। তখনই ওই যুবক তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের মেনে নিতে অস্বীকার করেন। মহিলা আরও জানান, অভিযুক্ত প্রায়শই তাঁকে হুমকি দিতেন এবং বলতেন, তিনি তাঁর আইনত স্ত্রী নন। এরই মধ্যে মহিলা জানতে পারেন, চন্দপাল নাকি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চলেছেন। এর প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত তাঁকে মারধরও করেন বলে অভিযোগ।
অবশেষে বাধ্য হয়ে ওই মহিলা থানায় ধর্ষণ, হুমকি ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। গ্বালিয়র পুলিশ সুপারের দফতর থেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে চন্দপাল যাদবকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। পুলিশ এখন তাঁদের বিবাহের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে।
পীড়িতা অভিযোগ করেন, “১৬ বছর ধরে আমি তাঁর স্ত্রীর মতো ছিলাম, কিন্তু এখন তিনি নিজেকে আমার স্বামী মানতে অস্বীকার করছেন। আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।