ট্রাম্পের বড় পদক্ষেপ! সমুদ্রে নামানো হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ, কী ঘটতে চলেছে? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় মাদক চোরাচালান রুখতে এবার কোমর বেঁধে নেমেছেন। ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলো, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা এবং কলম্বিয়া থেকে মাদকের চোরাচালান বন্ধ করতে ছোট জাহাজগুলোতে উপর চালানো হচ্ছে লাগাতার বিমান হামলা। এই পদক্ষেপের মধ্যেই আরও এক কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হানতে এবার সমুদ্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা।
পেন্টাগন সূত্রে খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর ল্যাটিন আমেরিকার সমুদ্র এলাকায় মাদক পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে এক বিশাল সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ মোতায়েন করা হবে। এই জাহাজ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এর ফলে এই অঞ্চলে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে।
কেন এই জাহাজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ?
ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ডকে বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি বিশেষভাবে মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই বিমানবাহী রণতরীটি ১,০৯২ ফুট লম্বা এবং এর ওজন প্রায় ১ লক্ষ টন। এই জাহাজে অত্যাধুনিক এফ-৩৫সি স্টিলথ ফাইটার জেট, এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট, ১৮জি-ইএ গ্রোলার ইডব্লিউ জেট, ই-২ডি হকি আর্লি ওয়ার্নিং এয়ারক্রাফ্ট, সি-২এ গ্রেহাউন্ড এবং এমএইচ-৬০আর/এস সি-হক হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক বিমান মোতায়েন করা যায়।
এই বিশাল জাহাজকে শক্তি যোগায় দুটি এ-১বি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর। এটি এর পূর্বসূরি যুদ্ধজাহাজগুলোর চেয়ে ২৫% বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম, যা এর কার্যকারিতা এবং যুদ্ধ সক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়েছে। জাহাজের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি একে যেকোনো পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রাখে।
এই ১৩ বিলিয়ন ডলার (১১ লক্ষ কোটি টাকা প্রায়) মূল্যের যুদ্ধজাহাজটি নির্মাণ করেছে ভার্জিনিয়ার নিউপোর্ট নিউজে অবস্থিত হান্টিংটন ইঙ্গেলস ইন্ডাস্ট্রিজ। এই বিশাল ব্যয় এবং প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বই প্রমাণ করে যে আমেরিকার সামরিক শক্তি কতটা শক্তিশালী। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন কি তবে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হানতে চাইছে? নজর এখন ল্যাটিন আমেরিকার সমুদ্রের দিকে।