দুই স্ত্রী স্বেচ্ছায় তাদের স্বামীর সম্পত্তি ভাগ করে নিলেন, জেনে নিন কোন স্ত্রী কত ভাগ পেল – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

সম্পত্তি, বাড়ি বা ব্যবসার ভাগাভাগির কথা শোনা গেলেও, স্বামীকে (Husband Sharing) দু’জনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেওয়ার এমন অদ্ভুত ঘটনা বোধহয় আগে কখনও শোনেননি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, বিহারের পূর্ণিয়া জেলায় (Purnia, Bihar) এমনটাই ঘটেছে। আর এই চাঞ্চল্যকর ‘বন্টন’ হয়েছে পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকা পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রের (Family Counselling Center) মধ্যস্থতায়। গোটা এলাকায় এখন এই ঘটনাই আলোচনার প্রধান বিষয়।

আসলে কী ঘটেছে?

ঘটনাটি পূর্ণিয়ার ভবানিপুর থানা এলাকার। স্থানীয় গোদিয়ারি গ্রামের এক মহিলা সম্প্রতি পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, স্বামী মিথ্যা বলে তাঁকে বিয়ে করেছেন। কারণ, তাঁর আগেই বিয়ে হয়েছিল এবং তাঁর ছয় সন্তানও রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, স্বামী এখন তাঁকে আর নিজের কাছে রাখতে চাইছেন না, ব্যবহার করে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছেন।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত যুবকের প্রথম স্ত্রীও তাঁর স্বামীকে কিছুতেই ছাড়তে রাজি নন। তিনিও স্বামীর সঙ্গেই সংসার করতে চান। দুই স্ত্রীর এই অনড় দাবিতে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। দীর্ঘ আলোচনার পরও যখন কোনো সমাধান সূত্র বের হচ্ছিল না, তখন এক চরম ও অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ভাগাভাগির সেই ‘ফর্মুলা’

দুই স্ত্রীকে খুশি করতে কেন্দ্র শেষমেশ স্বামীকে দু’জনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়! কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই যুবককে তাঁর দুই স্ত্রীকেই রাখতে হবে। তাদের ভরণপোষণ, খাওয়া-পরাসহ সব দায়িত্বই তাঁকে নিতে হবে। তবে দুই স্ত্রীকে আলাদা বাড়িতে রাখতে হবে।

সবচেয়ে কৌতূহলী দিকটি হলো সময়ের ভাগাভাগি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অভিযুক্ত স্বামী এখন থেকে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে মাসের ১৫ দিন থাকবেন এবং বাকি ১৫ দিন তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে কাটাবেন। দুই স্ত্রীই এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না যেতে পারে, তার জন্য কেন্দ্র তিনজনের কাছ থেকেই মুচলেকা (Bond) নিয়েছে।

স্বামীর এই ‘ভাগাবাঁটোয়ারার’ ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। একজন স্বামীকে এইভাবে ভাগ করে নেওয়ার আইনি বা সামাজিক পরিণতি কী হতে পারে, সেই প্রশ্নও উঠছে বিভিন্ন মহলে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *