“ভবানীপুরে বিজেপির যিনিই প্রার্থী হবেন, তিনিই জিতবেন”, সরাসরি দাবি শুভেন্দুর – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
কলকাতা: রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভবানীপুর কেন্দ্র ঘিরে রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে। ঐতিহ্যগতভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই আসনে এবার তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার ভবানীপুরের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের আয়োজিত এক জনসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু সরাসরি দাবি করেন, “ভবানীপুরে বিজেপির যিনিই প্রার্থী হবেন, তিনিই জিতবেন।”
মমতার ‘বহিরাগত’ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগে বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, বহিরাগত বা ‘আউটসাইডার’ দিয়ে এলাকা ভরে দেওয়া হচ্ছে। যদিও পরে তিনি দাবি করেন, তাঁর বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাজস্থান, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের লোককে বহিরাগত বলেছেন উনি। এরা সবাই ভারতীয়। পরের দিন ঢোঁক গিলেছেন, বুঝেছেন গোলমাল হয়েছে। এই ভাগ করার রাজনীতি ওঁর রক্তে মিশে আছে।” শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, দেশের মানুষকে কি কেউ এভাবে বহিরাগত বলতে পারে?
এরপরই ভবানীপুরে বিজেপির জয়ের এক চাঞ্চল্যকর অঙ্ক কষে দেখান বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “ম্যাপিংয়েই এক লক্ষ ২০ হাজার নাম বাদ গিয়েছে। এসআইআর (বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা) হলে কমপক্ষে ৫০ হাজার মৃত, ভুয়ো আর চেতলায় থাকা বাংলাদেশি ভোটারের নাম বাদ যাবে। ক্যানিং বা ফলতা থেকে ভবানীপুরে যাদের নাম, এবার আর উঠবে না। তারপর এই সিটে বিজেপি ৩০ হাজার লিড নিয়ে শুরু করবে।”
শুভেন্দুর অনুমান, সোমবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকেই হয়তো পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরুর ঘোষণা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, “এমনিতেই কয়েক লক্ষ পালিয়েছে। আবার এসআইআর হলে তো আরও ৮০ ভাগ পালাবে। কমিশন যদি ঘোষণা করে, বাংলাদেশি মুসলিমকে ধরলে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে, তাহলে তো তৃণমূলই এই কাজ করে দেবে।”
বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি নন্দীগ্রাম জয়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “ওকে হারাবই। ভয় পাবেন না। মামলা করলে পাশে থাকব। নন্দীগ্রামে যেমন হারিয়েছিলাম, ভবানীপুরেও তেমনই হবে।” তবে ভবানীপুরে তিনি নিজে প্রার্থী হবেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “বিজেপিতে এভাবে হয় না, পার্টি ঠিক করবে কে প্রার্থী হবে।” এই কেন্দ্রে শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটাই এখন দেখার।