চরম চ্যালেঞ্জ! টানা ৩০ দিন ২৪টি করে ডিম খেয়ে ব্যক্তির শরীরে কী ঘটল, রিপোর্ট দেখে বিস্মিত চিকিৎসকরা – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
ফিটনেস দুনিয়ায় প্রোটিনের অন্যতম উৎস ডিম। কিন্তু দৈনিক ২৪টি করে ডিম টানা ৩০ দিন ধরে খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়তে পারে? সম্প্রতি এমনই এক চরম খাদ্যাভ্যাস চ্যালেঞ্জ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। এই অস্বাভাবিক পরীক্ষার শেষে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে বিস্মিত হয়েছেন চিকিৎসকেরাও।
ওই ব্যক্তি টানা ৩০ দিন ধরে মোট ৭২০টি ডিম খেয়ে এই চ্যালেঞ্জ শেষ করেন। তিনি প্রতিদিনকার শারীরিক পরিবর্তন, শক্তি এবং মেজাজের ওঠানামা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নথিভুক্ত করেছেন। চ্যালেঞ্জের প্রথমদিকে পেট ফাঁপা বা বমি ভাব দেখা দিলেও, অবাক করা বিষয় হলো, তাঁর শক্তির মাত্রা ছিল অনেক বেশি। মধ্যপর্বে শরীর এই ডায়েটের সঙ্গে মানিয়ে নেয় এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা, বিশেষত জিমে ওয়ার্কআউটের সময়, উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ও চমকপ্রদ ফলাফল
চ্যালেঞ্জ শেষে ওই ব্যক্তির সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। রক্ত পরীক্ষার ফলাফল ছিল বেশ চমকপ্রদ। সাধারণত এত ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু তাঁর শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) খুব বেশি বাড়েনি। বরং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL) মাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণত হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
এছাড়াও, প্রত্যাশিতভাবেই শরীরে প্রোটিনের মাত্রা অনেক বেশি পাওয়া যায়। ওজনে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেলেও তা মূলত পেশি বৃদ্ধির কারণে, চর্বি নয়। ব্যক্তিটি দাবি করেন, তাঁর পেশিশক্তি ও সামগ্রিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।
চিকিৎসকদের প্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা
এই রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা বিস্মিত হলেও এটিকে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলেই মনে করছেন। তাঁদের মতে, প্রতিটি মানুষের শরীর ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে। এই ব্যক্তির জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং নিয়মিত সক্রিয় জীবনধারার কারণে হয়তো ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
চিকিৎসকেরা কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, প্রতিদিন ২৪টি ডিম খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, হৃদরোগ এবং কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ—কোনো একটি নির্দিষ্ট খাবারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর না করে ভারসাম্যপূর্ণ এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া সব সময় স্বাস্থ্যকর। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, এমন চরম খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান ছাড়া একেবারেই করা উচিত নয়। এই চ্যালেঞ্জ অবিশ্বাস্য হলেও, এটিকে সাধারণ স্বাস্থ্য পরামর্শ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয়।