মাংসের চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তি! কোন সেই ‘জাদুকরি ফল’ যা এক মাসে আপনাকে করে তুলবে স্বাস্থ্যবান? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

আকর্ষণীয় ও সুঠাম শরীর পেতে অনেকেই নিয়মিত মাংস বা ডিমের উপর ভরসা রাখেন। কিন্তু, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মাংসের তেল-মশলা অনেক সময় শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাহলে উপায় কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি দেশি ফল আছে, যা মাংসের চেয়েও অন্তত ১০ গুণ বেশি বল-শক্তি দিতে পারে এবং মাত্র এক মাস নিয়মিত খেলে আপনি পাহাড়ের মতো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেন!

আসলে, এই ‘জাদুকরি ফলটি’ হলো ল্যাসোড়া বা লিসোড়া (Lasoda)। এই ফলটি এককালে গ্রামের মানুষের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত থাকতো, কিন্তু এখন তা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।

ল্যাসোড়া কীভাবে শরীরের শক্তি বাড়ায়?

ল্যাসোড়া ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে, যা হাড়কে মজবুত করে এবং শরীরের দুর্বলতা দূর করে। এটি শুধুমাত্র শক্তিই যোগায় না, শরীরে নতুন শক্তি ও উদ্দীপনা তৈরি করে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা খুব রোগা বা দুর্বল, তাদের জন্য এই ফল ‘পাওয়ার হাউজ’-এর মতো কাজ করতে পারে।

ল্যাসোড়ার অন্যান্য অবিশ্বাস্য উপকারিতা

পুষ্টিগুণ ছাড়াও, ল্যাসোড়া আরও একাধিক শারীরিক সমস্যা সমাধানে কার্যকর।

  • রক্তস্বল্পতা দূর: নিয়মিত ল্যাসোড়ার সেবনে শরীরে রক্তের অভাব বা অ্যানিমিয়া দূর হয়।
  • চর্মরোগে আরাম: এর বীজের মজ্জা বা শাঁস পিষে দাদ বা রিংওয়ার্মে লাগালে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।
  • ফোড়া ও ফুসকুড়ি: ল্যাসোড়ার পাতার পোঁটলা (পুলটিস) তৈরি করে ফুসকুড়ির উপর বাঁধলে তা দ্রুত শুকিয়ে যায়।
  • গলার রোগ: ল্যাসোড়ার ছাল বা বাকলের কাথ (Decoction) দিয়ে গার্গল করলে গলার সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
  • হজম ও কলেরা: এর ছাল পেষণ করে সেবন করলে হায়জা বা কলেরা রোগে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
  • দাঁতের ব্যথা: ল্যাসোড়ার ছালের কাথ দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের ব্যথা কমে।
  • শক্তি বৃদ্ধি ও কোমর মজবুত: ল্যাসোড়ার শুকনো ফলের চূর্ণ চিনির সিরায় মিশিয়ে লাড্ডু তৈরি করে খেলে শরীর মোটা হয় এবং কোমর শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
  • চোখের ব্যথা ও ফোলা: ল্যাসোড়ার ছাল পিষে চোখে লাগালে ফুলে যাওয়া বা শোথে আরাম মেলে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার চলতি দামি সাপ্লিমেন্টের বদলে এই দেশি ফলটি খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে খুব কম খরচে শারীরিক শক্তি ও দীর্ঘায়ু লাভ করা যেতে পারে। তাহলে আর দেরি কেন, এই ফলের খোঁজ করুন এবং সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *