মেয়ে দ্বিতীয়বার মা হতে যাচ্ছিল, ডাক্তার এমন প্রশ্ন করলেন যে স্বামী জেলে গেলেন! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

পাঁচ বছরের সুখের দাম্পত্য জীবন, ঘরে সন্তানের কলরব আর এবার দ্বিতীয় সন্তানের আগমনী বার্তা। চিনের এক তরুণ দম্পতির জীবনে সবই ঠিকঠাক চলছিল। পরিবারে নতুন অতিথির আগমনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। সব ঠিক আছে কি না তা জানতে সদ্য গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান স্বামী। কিন্তু একটি সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষাই তাঁদের জীবনে আইনি জটিলতা নিয়ে আসে এবং মুহূর্তের মধ্যে সুখের সংসার তছনছ হয়ে যায়।

ঘটনাটি হলো, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন এক যুবক। ডাক্তার যখন ওই যুবতী, যিনি একজন সন্তানের মা এবং দ্বিতীয়বার গর্ভবতী, তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করছিলেন, তখন তিনি তাঁর কাছে বয়স জানতে চান। নিরক্ষর হওয়ার কারণে যুবতী তাঁর সঠিক বয়স জানাতে পারেননি। এতেই চিকিৎসকের সন্দেহ হয় এবং তিনি কাগজপত্র দেখতে চান। তখনই প্রকাশ্যে আসে এক অবিশ্বাস্য সত্য।

পাঁচ বছর ধরে বিবাহিত এবং দ্বিতীয়বার মা হতে চলা ওই মহিলার বয়স আসলে মাত্র ১৭ বছর! এই সত্য জানতে পেরেই চিকিৎসক দেরি না করে অবিলম্বে পুলিশ ও সমাজকল্যাণ বিভাগকে খবর দেন। যেহেতু অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ‘POCSO’ আইন অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ, তাই পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।

ভাগ্য এমন পরিহাস করল যে স্বামীর সঙ্গে সুখী জীবনের স্বপ্ন দেখা স্ত্রীকেই তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে হলো। একদিকে স্বামীর প্রতি ভালোবাসা, অন্যদিকে গর্ভে থাকা সন্তান এবং সামনে কঠিন আইন; অল্পবয়সী ওই মা এক চরম দুর্বিপাকের মধ্যে পড়ে যান।

চিকিৎসকদের মতে, কম বয়সের কারণে ওই যুবতী এবং তাঁর গর্ভের সন্তানের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *