৫ বছরের মেয়ের ‘হিংসা’! ২১ দিনের বোনকে ৪ তলা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল, এরপর যা ঘটল… – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

এক চরম মর্মান্তিক এবং বিস্ময়কর ঘটনা সামনে এসেছে যা আপাতদৃষ্টিতে খুব সাধারণ, কিন্তু এর পরিণতি অবিশ্বাস্য। সাধারণত, বাড়িতে নতুন অতিথি এলে বড় ভাই বা বোনেরা তাকে সাদরে বরণ করে নেয়। কিন্তু এক ৫ বছর বয়সী মেয়ে তার মাত্র ২১ দিনের সদ্যোজাত বোনকে চতুর্থ তলার জানালা দিয়ে নীচে ছুঁড়ে ফেলেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এর পিছনে রয়েছে ঈর্ষা বা হিংসা। ছোট বোনের আগমনকে সে মেনে নিতে পারেনি। পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ‘আসলে কী ঘটেছিল?’

এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটার সময় দুই শিশুই ফ্ল্যাটের মধ্যে একাকী ছিল। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীরা সদ্যোজাত শিশুটিকে সিমেন্টের মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চমকে ওঠেন। ওই ভবনের চতুর্থ তলা থেকেও নাকি কান্নার আওয়াজ আসছিল। রিপোর্ট অনুসারে, জানালা থেকে মেঝের উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। দুর্ভাগ্যবশত, এত উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ায় মাত্র ২১ দিনের নিস্পাপ শিশুটি প্রাণ হারায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটে অন্য একটি শিশুর উপস্থিতি নিয়ে ৫ বছর বয়সী মেয়েটি ক্রুদ্ধ ছিল। এই হিংসার কারণেই সে তার সদ্যোজাত বোনকে জানালা দিয়ে নীচে ফেলে দিয়েছে।

এদিকে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে, বাবা-মা কেন এত ছোট শিশুদের ফ্ল্যাটে একা ফেলে গেলেন? কারণ, ২১ দিনের শিশুকে একা রাখা মারাত্মক গাফিলতি

পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, বাবা কাজে বাইরে থাকাকালীন মা তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তিনি কেন দুটি শিশুকে, যাদের মধ্যে একজন সদ্যোজাত, একা রেখে গেলেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু দুটি অপরিণত এবং এমন ঝুঁকি নিয়ে তাদের একা রাখা উচিত হয়নি। শিশুকন্যার মৃত্যুর ঘটনায় মায়ের সমস্যা বাড়তে পারে এবং তিনি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয় যে ছোট শিশুদের কখনই অরক্ষিত বা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে একা ফেলে যাওয়া উচিত নয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *