ওয়াই-ফাই রাতে বন্ধ রাখা কি সত্যিই জরুরি? অর্ধেক মানুষ জানেন না আসল কারণ! – এবেলা
October 28, 2025

এবেলা ডেস্কঃ
আজকের দৈনন্দিন জীবনে ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) অত্যাবশ্যক হলেও, রাতে ঘুমানোর আগে ওয়াই-ফাই মডেম বা রাউটার বন্ধ করা কি স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য দিক থেকে সত্যিই একটি ভালো অভ্যাস? বহু মানুষই এর সঠিক কারণগুলি সম্পর্কে অবগত নন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, এর মাধ্যমে আপনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পেতে পারেন।
মূল সুবিধাগুলি জেনে নিন:
- বিদ্যুৎ সাশ্রয়: রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখলে সেই সময়ের বিদ্যুৎ খরচ পুরোপুরি বাঁচানো সম্ভব। যদিও তা সামান্য, তবে এর ফলে আপনার মাসিক বিদ্যুৎ বিলের ওপর কিছুটা হলেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
- অপ্রয়োজনীয় রেডিয়েশন থেকে মুক্তি: ওয়াই-ফাই রাউটারগুলি কাজ করার সময় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড (Electromagnetic Fields) নির্গত করে। যদিও এটি সরাসরি স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর নাও হতে পারে, তবুও অপ্রয়োজনীয় বিকিরণ বা রেডিয়েশন এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। রাতে ওয়াই-ফাই অফ রাখলে আপনার শরীরের চারপাশের রেডিয়েশনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
- ঘুমের মান উন্নত: বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে ওয়াই-ফাই-এর মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে আসা সিগন্যাল ঘুমের গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে। নিরবচ্ছিন্ন ও গভীর ঘুম নিশ্চিত করার জন্য ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখা সহায়ক হতে পারে।
- স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস: কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের রেডিয়েশন কোষের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা কমাতে পারে এবং ঘুমের সময় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়াগুলিকে ব্যাহত করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী রেডিয়েশনের সংস্পর্শে পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেন অনেকে।
- ডিভাইসের দীর্ঘস্থায়িত্ব: একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস ক্রমাগত চালু থাকলে তার ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ে। রাতে রাউটারকে ‘বিশ্রাম’ দিলে এর অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশগুলি ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পায়, ফলে রাউটারটি আরও দীর্ঘ সময় ধরে ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে।
সুতরাং, রাতে সামান্য একটি সুইচ অফ করার অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্য, ঘুম এবং বিদ্যুৎ বিল—সবকিছুতেই ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।