ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জের রং-ঘনত্ব বদলানো কি বিপদের সঙ্কেত জেনে নিন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

যোনিপথের প্রাকৃতিক স্রাব বা ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ প্রতিটি নারীর প্রজনন প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক অঙ্গ। মৃত কোষ, জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া বের করে দিয়ে প্রজননতন্ত্রকে পরিষ্কার ও সংক্রমণমুক্ত রাখাই হলো এই স্রাবের প্রধান কাজ। তবে সমাজে বেশিরভাগ নারীই শারীরিক এই বিষয়গুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে বা পরামর্শ নিতে দ্বিধাবোধ করেন। অথচ, সুস্থ থাকার জন্য প্রতিটা নারীর জানা উচিত মাসিক চক্রের কোন সময় স্রাবের রং ও ঘনত্ব কেমন হওয়া স্বাভাবিক এবং কখন তা অস্বাভাবিক বিবেচিত হতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ গ্রহণ, হরমোনের তারতম্য, অপুষ্টি বা ডায়াবেটিসের মতো কিছু কারণে স্রাবের পরিমাণ বাড়তে পারে।

স্রাবের রং বা ঘনত্বের যে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তনই অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে। ইস্ট বা ছত্রাক সংক্রমণে স্রাব ঘন ও সাদা হতে পারে। অন্যদিকে, দুর্গন্ধযুক্ত হলুদ, সবুজ, বা ধূসর স্রাব ব্যাকটেরিয়া বা যৌনবাহিত সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। এমনকি জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের ইঙ্গিতও দিতে পারে বাদামী রঙের অস্বাভাবিক স্রাব। তাই স্রাবের রং, গন্ধ বা ধরনে সামান্যতম অস্বাভাবিকতা দেখলেই দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে যেকোনো বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *