এই দম্পতি ১০০ বছরের পুরনো একটি বাড়ি কিনেছিলেন এবং কার্পেটটি সরিয়ে ফেলার সাথেই এমন কিছু দেখতে পান যা তাদের জন্য বড় পুরস্কার! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

কোটি টাকা নয়, পুরোনো বাড়ির মেঝেতে যা পেলেন দম্পতি, তা দেখে চোখ কপালে! ইংল্যান্ডের লিসেস্টার শহরের এক দম্পতি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো একটি বাড়ি কিনেছিলেন। বাড়িটি নিজেদের পছন্দমতো সাজাতে গিয়েই যা ঘটল, তা যেন এক অলৌকিক ঘটনা! মেঝেতে পাতা শত বছরের পুরনো কার্পেট সরাতেই তাঁদের হাতে এল এক অপ্রত্যাশিত ‘গুপ্তধন’। এই আবিষ্কার দেখে দম্পতির তো চোখ ছানাবড়া, আর সামাজিক মাধ্যমেও শুরু হয়েছে শোরগোল।

আসলে কী এমন পেলেন তাঁরা?

এই গল্পের নায়ক স্যাম ফ্রিথ এবং বেকা গ্রেস। তাঁরা পুরনো বাড়িটিকে নতুন করে সাজানোর কাজ শুরু করেন। সেই কাজেরই অংশ হিসেবে হলওয়ের পুরনো কার্পেটটি যখন সরানো হয়, তখনই দেখা যায় আসল চমক। কার্পেটের নিচে সুরক্ষিত অবস্থায় ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয় ‘হেরিংবোন’ ডিজাইনের কাঠের মেঝে। কাঠগুলো এতই নিখুঁত অবস্থায় ছিল যে দেখে মনে হচ্ছিল যেন আজই নতুন করে লাগানো হয়েছে।

পুরোনো মেঝেই যেন ‘জ্যাকপট’ বেকা জানান, বাড়ির সংস্কারের কাজে তাঁদের বিশেষ কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু কার্পেট সরানোর পর এই দারুণ সুন্দর মেঝে দেখতে পেয়ে তাঁদের মনে হয়েছে যেন তাঁরা লটারি জিতেছেন। মেঝেটি দীর্ঘ বছর ধরে কার্পেট ও আন্ডারলেয়ারের নিচে চাপা থাকায় কোনো ক্ষতি হয়নি, আর তাই এটি প্রায় সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল। এই আবিষ্কারটি কেবল তাঁদের আনন্দই দেয়নি, বাঁচিয়ে দিয়েছে মোটা টাকাও। স্যাম এবং বেকা হিসেব করে দেখেছেন, এই একইরকম নকশার নতুন মেঝে লাগাতে তাঁদের প্রায় ১.৯ লক্ষ টাকা খরচ করতে হতো। পুরোনো মেঝে অক্ষত পাওয়ায় সেই খরচ পুরোপুরি বেঁচে গেল।

ভিডিও হলো ভাইরাল দম্পতি তাঁদের এই রোমাঞ্চকর আবিষ্কারের একটি ভিডিও নিজেদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট @sparrowcrofthome-এ শেয়ার করেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বেকা কার্পেট সরাচ্ছেন এবং মেঝে দেখে বিস্ময়ে চিৎকার করে উঠছেন, “ওহ মাই গডনেস!” এরপর দ্রুত বাকি কার্পেটও সরিয়ে পুরো মেঝেটি সামনে আনেন। ভিডিওটি প্রকাশের পর মুহূর্তেই ভাইরাল হয়, আর লাখ লাখ মানুষ সেটি দেখে ফেলেছেন। কমেন্ট বক্সেও প্রতিক্রিয়া ছিল উপচে পড়া। কেউ লিখেছেন, “কী দারুণ ভাগ্য আপনাদের!” আবার কেউ বলেছেন, “এত সুন্দর মেঝের ওপর কার্পেট পাতার মানে কী!” দম্পতি জানান, বাড়িটি কেনার সময় তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল এর আধুনিকীকরণের পাশাপাশি ঐতিহাসিক সৌন্দর্যকে বাঁচিয়ে রাখা, আর এই মেঝে আবিষ্কার সেই স্বপ্নকেই সত্যি করল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *