কাশীতেও ৫ জনের কপালে জোটে না মোক্ষলাভ! শ্মশান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় কাদের দেহ? জানুন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

হিন্দু ধর্মমতে মোক্ষলাভের দরজা হিসেবে খ্যাত উত্তরপ্রদেশের বারাণসী বা কাশীতে গঙ্গার তীরে শবদাহের শিখা কখনও নেভে না। বিশ্বাস করা হয়, এখানে দেহত্যাগ করলে সরাসরি বৈকুণ্ঠে স্থান মেলে। কিন্তু জানেন কি, এমন পাঁচ ধরনের মানুষ আছেন যাদের মৃতদেহ কাশীর শ্মশান ঘাট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়? সম্প্রতি গঙ্গায় নৌকার একজন মাঝি এই শতাব্দী প্রাচীন ব্যতিক্রমী প্রথাটি প্রকাশ্যে এনেছেন, যা সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এই ব্যতিক্রমী ঐতিহ্য অনুযায়ী, সন্ন্যাসী, ১২ বছরের কম বয়সী শিশু, গর্ভবতী মহিলা, সাপের কামড়ে মৃত ব্যক্তি এবং চর্মরোগে আক্রান্তদের শবদেহ এখানে দাহ করা হয় না।

ঐতিহ্যগতভাবে মনে করা হয় সাধু-সন্তরা মোক্ষ লাভ করে ফেলেছেন, তাই তাঁদের দেহকে জল সমাধি বা থাল সমাধি দেওয়া হয়। শিশুদের ঈশ্বরের অবতার মানা হয় বলে তাদের দেহও গঙ্গায় ডুবিয়ে দেওয়া হয় অথবা প্রধান ঘাট থেকে দূরে দাহ করা হয়। হিন্দু সংস্কার অনুযায়ী, গর্ভবতী মহিলার মৃতদেহ দাহের সময় জরায়ু ফেটে অনাগত শিশু বেরিয়ে আসা অশুভ। একইভাবে, সাপের কামড়ে মৃতদের মস্তিষ্ক ২১ দিন সক্রিয় থাকে এমন সংস্কারে বিশ্বাস থাকায় তাদের কলার কাণ্ডের সঙ্গে বেঁধে গঙ্গায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও, কুষ্ঠরোগ বা অন্যান্য চর্মরোগে মৃতদের দেহ দাহ করলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে তাদের দেহও শ্মশান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *