১৬ বছরের কম বয়সীরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবে না? কোন দেশের এমন চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত, জানুন বিশদে! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি। অল্প বয়সেই এই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এক দেশ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের জন্য এক বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সারা বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে।
প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি এবার ১৬ বছরের কম বয়সীরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবে না? কোন দেশ এমন কঠোর আইন আনল? আর এই সিদ্ধান্তের প্রভাবই বা কী হতে চলেছে?
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সরকার এক নতুন আইন পাশ করেছে, যেখানে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখ থেকে এই আইন কার্যকর হবে।
কোন কোন প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা?
নতুন এই আইনের অধীনে মেটা (Facebook এবং Instagram), TikTok এবং Snapchat-এর মতো বড় প্ল্যাটফর্মগুলি জানিয়েছে, তারা এই নিয়ম মেনে চলবে। অস্ট্রেলিয়ার সংসদ এই প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য একটি কঠোর নির্দেশ জারি করেছে: ১৬ বছরের কম বয়সী সমস্ত ব্যবহারকারীকে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে অবশ্যই সরিয়ে দিতে হবে।
আইন ভাঙলে কী হবে?
যদি কোনো কো ম্পা নি এই নতুন আইন পালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের ৪৯.৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে।
চ্যালেঞ্জ মানছে টেক-জায়ান্টরা!
যদিও আইনটি কার্যকর করতে প্রস্তুত, তবে টেক কো ম্পা নিগুলি এই পদক্ষেপ কার্যকর করার ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সতর্ক করেছে। মেটার পলিসি ডিরেক্টর মিয়া গার্লিক স্পষ্ট জানিয়েছেন, লাখ লাখ ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করা এবং তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়াটা অত্যন্ত কঠিন কাজ।
TikTok-এর অস্ট্রেলিয়া পলিসি প্রধান এলা উডস-জয়স আইনটি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে কম বয়সী ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের অন্যান্য অপরিচিত ও অনিরাপদ অংশে চলে যেতে পারে। Snapchat-এর জেনিফার স্টাউটও এই আইনের সঙ্গে সহমত না হয়েও তা মেনে চলার কথা বলেছেন।
‘পৃথিবীর কঠিনতম’ আইন!
অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন আইনকে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর সোশ্যাল মিডিয়া নিয়মগুলির মধ্যে অন্যতম বলে মনে করা হচ্ছে। টেক শিল্প মহল অবশ্য এই আইনকে ‘অস্পষ্ট, সমস্যা তৈরি করা এবং তড়িঘড়ি নেওয়া সিদ্ধান্ত’ বলে সমালোচনা করেছে। ইউটিউবও আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে, যদিও উদ্দেশ্য ভালো, তবে আইনটি কার্যকর করা এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বেশ কঠিন হতে পারে।