‘তোমরা দশটা মুসলিম মেয়ে আনো’, প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্য – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক রাঘবেন্দ্র সিংয়ের একটি মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তাঁকে সরাসরি সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে দেখা গেছে, যা নিয়ে জনমানসে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

ঠিক কী বলেছেন রাঘবেন্দ্র সিং?

ডুমারিয়াগঞ্জের এই প্রাক্তন বিধায়ক ধনখরপুর গ্রামে এক জনসভায় বলেন, “ওরা আমাদের সমাজের দুই মেয়েকে নিয়ে গেছে। তোমরা ১০ জন মুসলিম মেয়েকে নিয়ে এসো। আমরা দু’জনের জন্য ১০ জনের কম নেব না।” তিনি আরও যোগ করেন, “যারা আসবে, তাদের খাবার, থাকার ও কাজের ব্যবস্থা করব। আমরা এটা সহ্য করব না, এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। এই মোল্লা-মৌলবিদের বোঝা উচিত।”

তাঁর এই বিস্ফোরক বক্তব্যের প্রেক্ষাপট হিসেবে তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি দুটি হিন্দু মেয়ের অপহরণ এবং একজন হিন্দু ব্যক্তির হত্যার ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ।

বিতর্কের মুখে কী সাফাই দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক?

বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাঘবেন্দ্র সিং নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। তিনি বলেন, “আমি যা বলেছি, সেটি সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা থেকে এসেছে। মুসলমানরা হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে, হিন্দুদের হত্যা করে, আর আমরা চুপ থাকব? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দায় শুধু হিন্দুদের নয়।” তাঁর দাবি, উস্কানি দেওয়া তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না, বরং “মানুষকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করা”।

‘মিনি পাকিস্তান’ মন্তব্য নিয়েও চাঞ্চল্য

ওই প্রাক্তন বিধায়ক তাঁর বক্তব্যে ডুমারিয়াগঞ্জকে ‘মিনি পাকিস্তান’ বলেও উল্লেখ করেন, যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ডুমারিয়াগঞ্জকে এমনই বলা হত এবং বহু হিন্দু গ্রামবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। তাঁর মন্তব্য, এই অঞ্চলের কিছু মুসলিমের ‘ভুল ধারণা’ ভাঙতেই তিনি এই কথা বলেছেন।

প্রশাসনের পদক্ষেপ কী?

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুসারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে গ্রামে নজরদারি বাড়িয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *