যুদ্ধবিরতি হুমকির মুখে! হামাসের হামলার পর নেতানিয়াহু কঠোরভাবে “শক্তিশালী হামলার” প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি আবারও চরম সংকটের মুখে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে এবার গাজা ভূখণ্ডে ‘তাৎক্ষণিক ও শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহুর এই কঠোর পদক্ষেপ এমন সময়ে এলো, যখন মঙ্গলবার ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) দাবি করে, হামাস জঙ্গিরা দক্ষিণ গাজায় ইজরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, যা যুদ্ধবিরতির শর্তের সরাসরি লঙ্ঘন। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু।
যুদ্ধবিরতি ভাঙল হামাস? বন্দির দেহাবশেষ নিয়ে নতুন বিতর্ক
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে যখন হামাস একজন ইজরায়েলি বন্দির আংশিক দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেয়। ইজরায়েলের দাবি, এটি প্রায় দুই বছর আগে যুদ্ধের সময় উদ্ধার হওয়া এক বন্দির দেহাবশেষ। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এটিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে দাবি করেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী হামাসকে বিলম্ব না করে সব বন্দির দেহাবশেষ অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে।
এদিকে, এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ (UN)। তাদের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, গাজায় নতুন করে সংঘাত শুরু হলে সেখানে বিদ্যমান মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের প্রেক্ষাপট
ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এই সংঘাত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয়েছিল। সে সময় হামাস ইজরায়েলের অভ্যন্তরে আকস্মিক হামলা চালিয়ে শত শত নাগরিককে হত্যা করে। তার জবাবে ইজরায়েল গাজায় তীব্র বিমান ও স্থল আক্রমণ শুরু করে। এরপরেই মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং কিছু বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় একটি সীমিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক হামলা ও বন্দি সংক্রান্ত বিতর্ক সেই চুক্তির স্থায়িত্বকে আবারও চরম ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।