স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, বাইক থেকে নেমে যেতেই ৪ বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কাটলেন বাবা! মহারাষ্ট্রে ভয়ঙ্কর কাণ্ড – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
এক ভয়ঙ্কর ও মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে মহারাষ্ট্রের বুলঢাণা জেলা থেকে। অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর এক ব্যক্তি তাঁর ৪ বছর বয়সী যমজ কন্যাসন্তানদের গলা কেটে খুন করেছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ অক্টোবর। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাহুল চ্যাবন।
ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাহুল চ্যাবন তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে নিয়ে মোটরবাইকে কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়া চরমে উঠলে মাঝরাস্তায় বাইক থেকে নেমে হেঁটে তাঁর বাপের বাড়ি চলে যান রাহুল চ্যাবনের স্ত্রী।
এরপর রাহুল দুই কন্যাসন্তানকে নিয়ে আরও কিছুটা পথ এগিয়ে অন্ধকারা গ্রামে পৌঁছান। অভিযোগ, সেখানে তিনি তাঁর দুই মেয়েকে স্থানীয় একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।
দুই সন্তানকে খুন করার পর রাহুল নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। ঘটনার চার দিন পর তিনি স্থানীয় থানায় গিয়ে নিজেই তাঁর দুই মেয়েকে খুন করার কথা স্বীকার করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেয় এবং অন্ধকারা থানার হাতে তুলে দেয়, কারণ অপরাধের স্থানটি ওই থানার আওতায় পড়ে।
পুলিশ অভিযুক্ত রাহুল চ্যাবনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর অন্ধকারা থানার পুলিশ ফরেনসিক দল নিয়ে ঘটনাস্থল অর্থাৎ সেই জঙ্গলে যায় এবং দেহের নমুনা সংগ্রহ করে। পুলিশ সেখান থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। জানা গিয়েছে, ততদিনে মৃতদেহ দুটিতে পচন ধরতে শুরু করেছিল। পুলিশ অভিযুক্ত রাহুল চ্যাবনকে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশের শামলী জেলাতেও একইরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে স্ত্রীর বারবার অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার কারণে হতাশ হয়ে এক ব্যক্তি তাঁর চার সন্তান-সহ যমুনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।